ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ সময়ে তারুণ্যের ফ্যাশন

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১১ মার্চ ২০১৬

এ সময়ে তারুণ্যের ফ্যাশন

পান্থ আফজাল মানুষ তার কর্ম ব্যস্ত জীবনে এতটাই ব্যস্ত থাকে যে প্রকৃতির অমোঘ পরির্তন তার চোখ এড়িয়ে যায়। তারপরও কিছু কিছু ঋতু না চাইলেও চোখের সামনে ধরা দেয় অপূর্ব শোভা নিয়ে। তেমনি এক ঋতু বসন্ত। হাটতে-চলতে এক ধরনের স্বাচ্ছন্দ্যতা অনুভব করা যায়। কানে ভেসে আসে পাখির কলতান। চোখে পড়ে গাছে গাছে নতুন পাতা। এ যেন এক অন্যরকম পরিবেশ। মন মাতানো এক আবহাওয়া। প্রকৃতি যেমন তার রূপ বদলায়। নতুন সাজে ও রঙে যেভাবে উদ্ভাসিত হয় ঠিক সেভাবেই আবর্তিত হয় ফ্যাশন। ঋতুর সাথে সঙ্গতি রেখেই ফ্যাশনে আনা হয় পরিবর্তন। ঋতু বৈচিত্র্যের পালাবদলে প্রকৃতিতে বইছে নাতিশীতোষ্ণ হাওয়া। মৃদু-মন্দ, হাওয়া এবং মিষ্টি রোদের ঝলকানি মনকে নাড়া দেয়ার পাশাপাশি ফ্যাশনকেও নাড়া দিয়ে যায়, শেষ হয়ে এসেছে শীত, যার ফলে সময় হয়েছে শীতের মোটা জামা-কাপড়গুলো আলমিরাতে তুলে রাখার। তবে গরমটা সেভাবে পড়েনি বলে পাতলা ড্রেসও শোভা পায় না। কারণ এখনও রাতে ঘুমোতে গেলে সাধের নকশী কাঁথাটি জড়িয়ে নেন অনেকে। ফ্যাশন হাউজগুলোও এমন নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া মাথায় রেখে বাজারে নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ফ্যাশনেবল ড্রেস। মূলত ফুলসিøভ ড্রেস প্রাধান্য পেয়েছে এ ফ্যাশনে। ফুল সিøভ ফ্যাশনে এবারে নতুন সংযোজন হুডি শার্ট এবং ফতুয়া। ফুলশার্ট কিং ফতুয়ার সঙ্গে ঘোমটা আকৃতির হুডি জুড়ে দিয়ে প্রচলন করা হয়েছে এ ফ্যাশনের। আগে ফুলসিøভ গেঞ্জির সাথে হুডি লক্ষ্য করা যেত কিন্তু এখন তা শার্ট, ফতুয়াতেও সংযোজিত হয়েছে। যার ফলে ফ্যাশনে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। হুডি শার্ট সম্পর্কে ফ্যাশন হাউজ ব্যাঙ এর কর্ণধার প্রিন্স জানান প্রথম দিকে অনেকটা এক্সিপেরিমেন্টালিক হুডি শার্ট বাজারে ছেড়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে এর রেসপন্স দেখে এ প্রোডাক্টটি আমার শো-রুমের জন্য নিয়মিত কবে ফেলি। আসলে ফ্যাশনে ভেরিয়েশন থাকলে ক্রেতারাও তা ভালোভাবে গ্রহণ করে। নাতিশীতষ্ণ হাওয়ায় এ ধরনের পোশাক বেশ মানানসই। কটন, খাদি এন্ডি কটন কাপড়ই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে হুডি শার্টের ক্ষেত্রে। ফতুয়ার ক্ষেত্রে প্যাটার্নটা ফতুয়ার মতোই শুধু মাত্র কলারের সাথে একটা হুডি সংযোজন করা হয়েছে। ছেলে অথবা মেয়ে উভয়ের জন্যই ফুলসিøভ ড্রেস বেশ আরামদায়ক। ফুলসিøভ টি-শার্ট, পলো শার্ট অনায়াসেই মানিয়ে যায় এ আবহাওয়ায়। মানুষ যতই ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠছে ততই বাড়ছে ফ্যাশন হাউজগুলোর সংখ্যা। যার ফলে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে পোশাক পরিচ্ছদ। ইচ্ছে হলেই যুগোপযোগী পোশাকে সাজাতে পারেন নিজেকে। শীতের রেশ কাটিয়ে প্রতিটি ফ্যাশন হাউজেই চোখে পড়বে সময়োপযোগী পোশাক হুডি শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া, পলো শার্ট ইত্যাদি। দামও ক্রয় সীমার মধ্যে। হুডি শার্ট পাওয়া যাবে ৫৫০ টাকা থেকে ১২৫০ টাকার মধ্যে। ফুলসিøভ টি-শার্ট ৩০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা, হুডি ফতুয়া ৪০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। এই আবহাওয়ায় পোশাক পরিচ্ছদ ক্রয়ের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ দিনের আলোতে একটু মোটা কাপড় পড়ে বের হরে গরম লেগে যায় আবার সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসতে না আসতেই হালকা ঠা-া অনুভূত হয়। যার ফলে পোশাক নিযে বিড়ম্বনায় পড়ে যান অনেকে। এ সম্পর্কে ডিজাইনার শাহেদ জানান, নাতিশীতষ্ণ আবহাওয়ায় পোশাক চুজ করা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কর্মজীবী যারা তারা যেহেতু সারাদিনের জন্য বের হন তারা একটু বুঝে শুনে পোশাক সিলেক্ট করবেন, যেমন হাফসিøভ পাট ব্যবহার না করে ফুল সিøভ শার্ট পরে বের হওয়া উচিত। ক্যাম্পাসে ফুলসিøভ টি-শার্ট কিংবা হুডি শার্ট বেশ মানানসই। মেয়েদের ক্ষেত্রে নীপ কটন কিংবা জয় সিল্কের সালোয়ার কামিজ ফতুয়া মানাবে তাছাড়া শাড়ির ক্ষেত্রে তাঁত, কোটা কাপড়, জামদানি শাড়ি কমফোর্টেবল। হালকা ঠা-াতেও যারা অভ্যস্ত নন তারা সন্ধের প্রস্তুতি আগে থেকেই নিতে পারেন। যেমন শাড়ির কিংবা সালোয়ার কামিজের সাথে ম্যাচ করা পাতলা চাদর (যা খুব সহজেই ছোট করে ভাজ করা যায়) ব্যাগে রাখতে পারেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে হালকা শীত এড়াতে একটা মাফলারই যথেষ্ট। যদিও এর খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না। কারণ এই আবহাওয়াটাই যেন উপভোগ করার মতো। মৃদু-মন্দ নির্মল হাওয়া মনটা জুড়িয়ে দেয়। এই হাওয়ার সাথে পোশাকটাও যদি কমফোর্টেবল হয় তাহলে তো কথাই নেই। ফ্যাশনের আমেজে নাতিশীতষ্ণ আবহাওয়াকে উপভোগ করার এই তো সময়। মডেল : শাকিল রেজা ও লিপসী ব্র্যান্ড : ইজি
×