ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান কর্মসূচী

জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ দাবি গণজাগরণ মঞ্চের

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১০ মার্চ ২০১৬

জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ দাবি গণজাগরণ মঞ্চের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। বুধবার সকালে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে হরতালবিরোধী কর্মসূচীতে একথা বলেন তিনি। আপীল বিভাগে যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর সর্বোচ্চ শাস্তির রায়ের প্রতিবাদে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জামায়াত। তাদের ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করে শাহবাগে হরতালবিরোধী অবস্থান ও মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। সকাল ১১টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেয় মঞ্চের নেতাকর্মীরা। জামায়াত-শিবির এবং যুদ্ধাপরাধবিরোধী নানা সেøাগানের মাধ্যমে অবস্থান কর্মসূচী চলে। সেখানে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, জামায়াতের ডাকা ন্যক্কারজনক হরতাল আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। জামায়াত রাষ্ট্রবিরোধী একটি অবৈধ সংগঠন, এদেশে হরতাল ডাকার কোন অধিকার তাদের নেই। হরতাল ডেকে তারা সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির হরতাল ডেকে মানুষ হত্যা, নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে, অথচ এখনও সরকার জামায়াত নিষিদ্ধ করেনি। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জামায়াত হরতাল ডাকার দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমরা বিচার বিভাগকে বলতে চাই, যারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, আদালতের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকছে, দেশের মানুষকে হত্যা করছে, দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে বিবৃতি দেয়ায় দুই মন্ত্রীকে আদালতে ডাকা হলো, অথচ একই বক্তব্য নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মীর কাশেমের স্ত্রী ও তার লবিস্ট টবি ক্যাডম্যান। রাষ্ট্রের উচিত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, অথচ তা করা হয়নি। জামায়াত নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে, তারা তাদের সংগঠনের সিদ্ধান্তেই যুদ্ধাপরাধ করেছে। সংগঠন হিসেবে জামায়াতের অপরাধ তাদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচারই নয়, একই সঙ্গে জামায়াতের রাজনীতিও দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, জামায়াতের অর্থনৈতিক সংগঠনগুলো বাজেয়াপ্ত করে জঙ্গীবাদ প্রসারের পথ বন্ধ করে দিতে হবে। ইসলামী ব্যাংকের অর্থ গ্রহণ করে যুদ্ধাপরাধী জঙ্গীবাদী গোষ্ঠীকে দমন করা সম্ভব নয়। মতিউর রহমান নিজামী ও মীর কাশেম আলীর রায় দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানান ইমরান এইচ সরকার। হরতালবিরোধী মিছিলটি বেলা ১২টার দিকে শাহবাগ থেকে টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে ফিরে এসে অবস্থান নেয়। দুপুর পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচী।
×