ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একমির বিডিংয়ের নিবন্ধন শুরু ২৪ জানুয়ারি

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

একমির বিডিংয়ের নিবন্ধন শুরু ২৪ জানুয়ারি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের বিডিং শুরু হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। এদিকে এ কোম্পানির বিডিংয়ের যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিবন্ধন আগামী ২৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উল্লিখিত সময়ে নিবন্ধন শেষ করে এ কোম্পানির বিডিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি। আর এ লক্ষ্যে প্রতিটি বিডিংয়ের জন্য ৫ হাজার টাকা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অনুকূলে পে-অর্ডার করতে হবে। উল্লেখ্য, আগামী ১ থেকে ৩ ফেব্রুুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় পর্যন্ত চলবে। জানা যায়, কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। বিডিং-এর মাধ্যমে ইস্যুমূল্য নির্ধারণ করে পরবর্তীতে প্রসপেক্টাস অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। নিলামের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যে দাম নির্ধারণ করবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ওই দামে শেয়ার কিনবে। এর আগে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নির্দেশিত মূল্য দিয়েছিল ৮০ টাকা। এই তিন দিনের নিলামে তারা সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ কম বেশি দরে নিলামে অংশ নিতে পারবে। এটি হলে সর্বোচ্চ ৯৬ টাকা ও সর্বনিম্ম ৬৪ টাকা নামতে পারে। এখানে নির্ধারিত দাম পরবর্তীতে বিএসইসিতে জমা দিতে হবে। বিএসইসি তা অনুমোদন দিলে ওই দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে আবেদন করবে। এর আগে বিএসইসি’র ৫৬১তম সভায় এ কোম্পানিকে নিলাম বা বিডিং করার অনুমোদন দেয়া হয়। কোম্পানি পুঁজি উত্তোলন করে ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) খরচ খাতে ব্যয় করবে। ৩০ জুন ২০১৪ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৫ টাকা ৬৫ পয়সা। একই সময়ে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৬৬ টাকা ১৬ পয়সা। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড। আর রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যু হিসাবে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। বি ক্যাটাগরি কোম্পানির চাহিদা বেড়েছে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক বাজার মূলধনের পরিমাণ কমলেও বেড়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন। অপেক্ষাকৃত কম মৌলভিত্তি কোম্পানির শেয়ার হিসেবে ‘বি’ ক্যাটাগরিকে বিবেচনা করা হয়। আর বি ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়াকে পালে হাওয়া হিসেবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অপেক্ষাকৃত কম মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি অর্থাৎ ‘বি’ ক্যাটাগরির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। তাই গত সপ্তহে অন্যান্য ক্যাটাগরির লেনদেন কমলেও ‘বি’ ক্যাটাগরির লেনদেন তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ১.২১ গুণ বা ২১.৪৮ শতাংশ বেড়েছে। এক্ষেত্রে টার্নওভার বেড়েছে ৩০ কোটি ৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সূত্র মতে, গত সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। তার আগের সপ্তাহে ছিল ১৪০ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এদিকে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে পরিমাণ লেনদেন হয়েছে তার ৫.৭৯ শতাংশ অবদান রেখেছে ‘বি’ ক্যাটাগরি। এছাড়াও সাপ্তাহিক টপটেন গেইনারের শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে রেখেছে ‘বি’ ক্যাটাগরি।
×