ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বুলবুল চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীতে বাফার বর্ণাঢ্য আয়োজন

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২ জানুয়ারি ২০১৬

বুলবুল চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীতে  বাফার বর্ণাঢ্য আয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইংরেজী নতুন বছরের প্রথম সকাল। শীতের তীব্রতা তেমন নেই। বাইরে থেকে মাইকে শোনা যাচ্ছে গিটারে বাজছে রবীন্দ্রনাথের হৃদয়কাড়া গান ‘আনন্দধারা বহিছে ভূবনে’। ভেতরে প্রবেশ করেই চোখে পড়ছে রং বেরংয়ের পোশাকে শতশত নারী পুরুষ। পুরো বিদ্যায়তনজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। রাজধানীর ওয়াইজঘাটে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে (বাফা) শুক্রবার সকালের পরিবেশটা ছিল এমনই। নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে এদিন সকাল থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। নাচ, গান, আলোচনা ও কেক কেটে প্রয়াত নৃত্যগুরুকে শ্রদ্ধা জানায় বুলবুল ললিতকলা একাডেমি। বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে বুলবুল চৌধুরী নৃত্য জগতের এক কিংবদন্তির নাম। নৃত্য ও শিল্পকলায় তাঁর সৃষ্টি এখনও অনুপ্রেরণা যোগায় অসংখ্য মানুষকে। তাঁর জীবনকাল ছিল মাত্র ৩৫ বছর। এরই মধ্যে শিল্পী ও শিল্পস্রষ্টা হিসেবে তিনি রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় কীর্তি। চিত্রাঙ্কন ও সাহিত্য রচনায়ও তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। যদিও তাঁর প্রতিভার সার্বিক স্ফুরণ ঘটেছিল নৃত্যশিল্পে। তিনি ১৯১৯ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ার চুনতি গ্রামে। তার নাম অনুসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি। সকালে বুলবুল মিলনায়তনে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। শুরুতে ছিল জাতীয় সঙ্গীত। এরপর ছিল সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এতে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান ও বাফার প্রাক্তন সভাপতি কবি বেগম শামসুজ্জাহান নূর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাফার সভাপতি হাসানুর রহমান বাচ্চু। স্বাগত ভাষণ দেন সংগঠনের সম্পাদক নূরুর রহমান পলাশ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক কবির আহমেদ ও অধ্যক্ষ খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম। এরপর কেক কেটে জন্মদিনের এ আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে দলীয়ভাবে গিটারে রবীন্দ্রনাথের ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ গানটি বাজনো হয়। পরে কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী জ্যোতি দত্ত। পরিচালনায় ছিলেন সাজু আহমেদ। এরপর ‘সৃজন ছন্দে আনন্দে’ গানের সঙ্গে একক নৃত্য পরিবেশন করেন মৃত্তিকা রহমান সূচনা। দলীয়ভাবে পরিবেশন করা হয় নৃত্য, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত ও লোকসঙ্গীত। শেষ পর্বে ছিল একক সঙ্গীত। এতে অংশ নেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা তিনা, খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম, প্রদীপ নন্দী। বাফার সম্পাদক নূরুর রহমান পলাশের কণ্ঠে ‘বনতল ফুলে ফুলে ঢাকা’ গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
×