ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে সূচকের মিশ্রাবস্থা

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

পুঁজিবাজারে সূচকের মিশ্রাবস্থা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার মিশ্র প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে নিম্নমুখী প্রবণতায়। এদিন দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের শেষ সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করার কারণে বাজারে প্রভাব পড়েছে। মাসের শেষ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সারাদিন শেয়ারের ক্রেতা-বিক্রেতা কম ছিল। তবে উভয় বাজারেই সূচকে আহামরি কোন পরিবর্তন আসেনি। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রবিবার ডিএসইতে ৩৩৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ৯৬ কোটি টাকা বা ২২ শতাংশ কম লেনদেন। আগের দিন এ বাজারে ৪২৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ১৭২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির শেয়ার দর। সকালে দরবৃদ্ধির প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১০৫ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক দশমিক ০৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪৭ পয়েন্টে। পরিশোধিত মূলধনের দিক থেকে দেখা যায়, বাজারে চাহিদা বেশি ছিল ৫০-১০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যা আগের দিনের তুলনায় ১৮.১৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে হ্রাস পেয়েছে ০-২০ এবং ২০-৫০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের যা আগের দিনের তুলনায় ১৫.০৪ এবং ১৯.০১ শতাংশ কম। অন্যদিকে ৩০০ কোটি টাকার উপরে পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় ১৫.৩৪ শতাংশ কমেছে। এছাড়া পিই রেশিও ৪০ এর উপরে থাকা শেয়ারের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৬.৮৭ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে পিই রেশিও ২০-৪০ এর মধ্যে থাকা শেয়ারের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৭.২৯ শতাংশ বেড়েছে। ক্যাটাগরির দিক থেকে এগিয়ে ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন যা আগের দিনের তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি ছিল। বেড়েছে ‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন যা আগের দিনের তুলনায় ৪.২৩% বেশি ছিল। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমারেল্ড অয়েল, কাশেম ড্রাইসেলস, এসিআই লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, আফতাব অটোমোবাইলস, কেডিএস এক্সেসরিজ এবং সিঙ্গার বিডি। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো দেশ গার্মেন্টস, ফাস ফাইন্যান্স, এটলাস বাংলাদেশ, ডেল্টা লাইফ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল টি, ইস্টার্ন হাউজিং, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স ও জিএসপি ফাইন্যান্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : এলআর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ড, ফাস্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, হামিদ ফেবিক্স, ঝিল বাংলা, এ্যাপেক্স ফুডস, শ্যামপুর সুগার, বিডি অটোকারস, গ্রিন ডেল্টা, কোহিনূর কেমিক্যাল ও প্রগতি ইন্স্যুরেন্স। দিনটিতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৪ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টি কোম্পানির, দর কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি কোম্পানির
×