ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খানাখন্দে ভরা ১৪ কি.মি রাস্তা ॥ বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৭ নভেম্বর ২০১৫

খানাখন্দে ভরা ১৪ কি.মি রাস্তা ॥ বাড়ছে দুর্ঘটনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ৬ নবেম্বর ॥ চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার বাঁশখালী-আনোয়ারা-পটিয়া (পিএবি) সড়কের ১৪ কিলোমিটার জুড়ে বেহাল দশা। খানা-খন্দকে ভরে গেছে পুরো সড়কের অংশ। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন ও যাত্রীরা। সড়কের বেহাল দশার অজুহাতে পরিবহন চালকরা ইচ্ছামত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে। তাছাড়া এ সড়কের যাতায়াত করা দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার, কুতুবদিয়ার লক্ষাধিক মানুষ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ছে। মাসের পর মাস দীর্ঘ সময় পার হলেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে পিএবি সড়কে চলাচল এখন ভয়ানক আতংকের নাম। বৃহস্পতিবার বাঁশখালী-আনোয়ারা-পটিয়া সড়ক সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এমন চিত্র দেখা যায়। সড়কের বেহাল দশায় মানুষ যখন দুর্ভোগের চরমে দাঁড়িয়েছে তখন সওজ কর্তৃপক্ষ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বিনয় পাল শ্রীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে জনকন্ঠকে জানান। স্থানীয় সূত্রে দেখা যায়, বাঁশখালী-আনোয়ারা-পটিয়া (পিএবি) সড়কের কালাবিবির দিঘী মোড় থেকে মইজ্জার টেক পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক এখন যানবাহন চলাচল অযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক উন্নয়নের কাজ বন্ধ থাকায় চলতি বর্ষায় অতিবৃষ্টির কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে এ সড়কে চলাচলরত যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে পূর্বের তুলনায় ১৪ কিলোমিটার পথ যাতায়াত করতে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় লেগে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপদ দোহাজারী বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বিনয় পাল জানান, সড়কটি সংস্কারের প্রথম দফায় দরপত্র আহবান করা হলেও উপযুক্ত ঠিকাদার না পাওয়ায় বাতিল করা হয়। পুনরায় দ্বিতীয়বার দরপত্র আহবান করা হয়েছে। বর্তমানে সংস্কারের কাজের ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে অচিরেই সংড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
×