ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচার সংখ্যায় জনকণ্ঠ এবারও চতুর্থ স্থানে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রচার সংখ্যায় জনকণ্ঠ এবারও চতুর্থ স্থানে

সংসদ রিপোর্টার ॥ টানা তৃতীয়বারের মতো প্রচার সংখ্যায় চতুর্থ শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে দৈনিক জনকণ্ঠ। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু রবিবার জাতীয় সংসদে প্রচার সংখ্যার ভিত্তিতে মিডিয়াভুক্ত দেশের ৫২৮ দৈনিক পত্রিকার তালিকা প্রদান করেছেন। সংসদে দেয়া মন্ত্রীর তালিকানুযায়ী ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩শ’ প্রচার সংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রচার সংখ্যার শীর্ষে রয়েছে। ৫ লাখ ১ হাজার ৮শ’ প্রচার সংখ্যায় দ্বিতীয় প্রথম আলো, ২ লাখ ৫০ হাজার ৮২০ প্রচার সংখ্যা নিয়ে তৃতীয় কালেরকণ্ঠ এবং ২ লাখ ২৩ হাজার ১০ প্রচার সংখ্যা নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে দৈনিক জনকণ্ঠ। এছাড়া প্রচার সংখ্যায় আমাদের সময় পঞ্চম, দৈনিক যুগান্তর ষষ্ঠ, দৈনিক ইত্তেফাক সপ্তম, দৈনিক সমকাল অষ্টম, দৈনিক ভোরের কাগজ নবম স্থানে রয়েছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ কার্যকর করতে প্রস্তাবিত দুটি আইন প্রণীত হলে সম্প্রচার কমিশন প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন টকশোর জন্য সুনির্দিষ্ট মানদন্ড নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। এতে করে টকশোগুলোতে বিকৃত ও অসত্য তথ্য উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে না। এছাড়া বর্তমানে বেসরকারী স্যাটেলাইট চ্যানেল কর্তৃক সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান, টকশো ও সংবাদ নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য একটি কমিটি রয়েছে। রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, সরকারী ও জাতীয় ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন জাতির কাছে পুরোপুরি দায়বদ্ধ। বাংলাদেশ টেলিভিশন হতে বিকৃত ও অসত্য তথ্য প্রদান করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার মতো কোন অনুষ্ঠান কিংবা টকশো প্রচার করার সুযোগ নেই। টকশো সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪-এর তৃতীয় অধ্যায়ের এক অনুচ্ছেদে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য বা উপাত্ত পরিহারের জন্য বলা হয়েছে। উক্ত নীতিমালা কার্যকর করার জন্য সম্প্রচার আইন-২০১৫ এবং সম্প্রচার কমিশন আইন-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইন দুইটি প্রণীত হলে টকশোতে বিকৃত ও অসত্য তথ্য উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে না। সরকারী দলের সংসদ সদস্য মাহমুদ- উস-সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ভারতের ৩২টি পে-চ্যানেল এবং ৮টি ফ্রি-চ্যানেল সম্প্রচারিত হয়। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলের বিষয়ে ভারতীয় দর্শকদের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে এবং বাংলাদেশের চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা নেই। তবে বিদেশী টিভি চ্যানেল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ডাউনলিংক ফি বেশি হওয়ায় ভারতীয় টিভি কেবল অপারেটররা এই বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছে না। বিষয়টি ভারতীয় সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি জানান, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে দূরদর্শনের একটি চ্যানেল ডিটিএইচ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিটিভির অনুষ্ঠান প্রচারের বিষয়ে তাঁর সম্মতি পাওয়া গিয়েছে। সেই অনুযায়ী দূরদর্শন ও বিটিভির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যে কোন ভারতীয় দর্শক বা কেবল অপারেটর ডাউনলিংকের মাধ্যমে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও সংসদ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপভোগের সুবিধা পাচ্ছে।
×