ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চুরির অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৯ আগস্ট ২০১৫

চুরির অভিযোগে চতুর্থ  শ্রেণীর ছাত্রকে   শিকল দিয়ে বেঁধে  নির্যাতন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে শিকলে বেঁেধ রাকিব (৮) নামের চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রকে অমানুুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে লক্ষ্মীপুরে নির্যাতন করা হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে। তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে দুর্বৃত্তরা নির্যাতন চালিয়েছে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতার। জানা গেছে, শিশু স্কুলছাত্রকে শিকল দিয়ে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগে বাউফল থানার পুলিশ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরশহরের মোকলেস মার্কেটের ভেতর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। রাকিবের বাবার নাম আবদুল খালেক রাঢ়ী। নাজির ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠি গ্রামে তার বাড়ি। রাকিব বাকলা তাঁতেরকাঠি সরকারী প্রাইমারী স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। সূত্র জানায়, মোকলেস মার্কেটে বাউফল গার্মেন্টেসের কর্মচারী জুয়েল শিশু রাকিবকে ঘটনার দিন সকাল ৬টার দিকে পাবলিক মাঠের কাছে একটি আখের দোকান থেকে ধরে নিয়ে আসে এবং মার্কেটের কেয়ারটেকার খোকা মিয়ার সহযোগিতায় রাকিবের পেটে শিকল দিয়ে বেঁধে তালা লাগিয়ে দেয়। শিকলের অপর অংশটি মার্কেটের সিঁড়ির নিচে বিদ্যুতের রুমের লোহার গেটের সঙ্গে আটকে তালা দেয়। এর পর তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। রাকিব জানায়, মার্কেটের কেয়ারটেকার খোকা মিয়া তাকে শিকল দিয়ে বাঁধার পর, জুয়েল তাকে মারধর করে। জুয়েল জানায়, রাকিব তার আপন খালাত ভাই। সে ৪-৫ দিন আগে বাড়ি থেকে তার মায়ের এক হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে আসার পর আর বাড়ি ফিরে যায়নি। তিনি খবর পেয়ে পাবলিক মাঠের কাছে একটি দোকান থেকে তাকে ধরে এনে মার্কেটে আটকে রাখে। খবর পেয়ে বাউফল থানার পুলিশ ওই মার্কেট থেকে শিকল পরা অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার জড়িত থাকায় জুয়েল ও খোকা মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ব্লেড দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর হাত-পায়ে পোচ ॥ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার দক্ষিণ হামছাদীর হাসনাবাদ গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় গুরুতর অবস্থায় ছাত্রীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার কামরুন নাহার সদর উপজেলার হাসনাবাদ দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ও সোনাপুর গ্রামের নূর আলমের মেয়ে। পুলিশ ও আহত ছাত্রীসহ সহপাঠীরা জানায়, বিকেলে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে যাচ্ছিল কামরুন নাহার। এ সময় হাসনাবাদ এলাকায় পৌঁছলে স্থানীয় ভুলু, রাসেল ও কিরনসহ পাঁচজন কামরুন নাহারকে ধরে চোখ বেঁধে একটি বাগানে নিয়ে যায়। পরে তারা কামরুন নাহারকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে ব্লেড দিয়ে তার হাত ও পায়ের বিভিন্ন অংশ পোচ দিয়ে বখাটেরা পালিয়ে যায়। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
×