ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অতিবৃষ্টি ॥ চট্টগ্রামে জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৬ জুলাই ২০১৫

অতিবৃষ্টি ॥ চট্টগ্রামে জনজীবন বিপর্যস্ত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ টানা আটচল্লিশ ঘণ্টার বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চল কোমর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সড়কে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধ রয়েছে। বাস, ট্রাক ও বড় আকৃতির যানবাহন অর্ধনিমজ্জিত হয়ে চলাচল করছে। এদিকে পাহাড়ে বসবাসকারীদের মধ্যে ধসে পড়ার চরম আতঙ্ক কাজ করছে। শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার হিসাব অনুযায়ী ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণে নি¤œাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ওইসব এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নগরীর অনেক অভিজাত এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অপরদিকে স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত নিয়ে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর হালিশহর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, চকবাজার, ফইল্যাতলী বাজার, সরাইপাড়া, ডিসি রোড, বাকলিয়া, সল্টগোলা, বন্দরটিলা, দক্ষিণ হালিশহর, মুরাদপুর, ষোলশহর, আরাকান সড়ক, পতেঙ্গা, বিমানবন্দর সড়ক, আগ্রাবাদ সিডিএ, মোগলটুলী, রহমতগঞ্জসহ বিভিন্ন নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু বৃষ্টির পানিই নয়, সমুদ্রের জোয়ারের পানিতেও তলিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকার সড়কসহ লোকালয়। সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে দক্ষিণ হালিশহর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও হালিশহর আবাসিক এলাকার রাস্তাঘাট এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। সেইসঙ্গে জোয়ারের পানি ওইসব এলাকার বিভিন্ন ভবনের নিচতলায় প্রবেশ করেছে। উভয় পানির চাপে ওই এলাকার মানুষের চলাচল বিঘিœত যেমন হচ্ছে, তেমনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাধারণ চলাচল। এদিকে চট্টগ্রামের অভিশাপ চাক্তাই খাল অনেকটা ভরাট হয়ে যাওয়ায় নিচু এলাকার পানি সরতে পারছে না। ফলে জলাবদ্ধতায় আটকা পড়ে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। পটিয়ায় বাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি নিজস্ব সংবাদদাতা পটিয়া থেকে জানান, শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন-ছনহরা সীমান্তে শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা দুইদিনের বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ী ঢলের পানির তীব্র স্রোতে শ্রীমাই খালের ছনহরার সিএনজি চালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের বাড়ি এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে জসিমের বাড়ি (আংশিক) ছাড়াও আশপাশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া পাহাড়ী ঢলের পানির স্রোতে তলিয়ে গেছে ওই এলাকার অর্ধশতাধিক পুকুরের মাছ। ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম নিশ্চিত করে বলেন, ভাটিখাইন ব্রিজ এলাকায় পল্লী বিদ্যুত সমিতির একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে খালের পাড়ে পড়ে যায়। তাছাড়া ছনহরা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই এলাকায় বর্তমানে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সীতাকু-ে ২৫ গ্রামে জলাবদ্ধতা নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকু- (চট্টগ্রাম) থেকে জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত দু’দিনের একটানা বৃষ্টিতে সীতাকু-ের উপকূলীয় এলাকাসহ ২৫টি গ্রামে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অস্বাভাবিক এ বৃষ্টির পাশাপাশি পাহাড়ী ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দী হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া বৃষ্টিতে পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম্য সড়ক, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে সীতাকু-ের সংসদ সদস্য আলহাজ দিদারুল আলম উপজেলার পানিবন্দী কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন এবং সব সময় উপজেলাবাসীর দুর্দিনে পাশে থাকার সদয় ব্যক্ত করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সোনাইছড়ির বগুলাবাজার জেলেপাড়া ও একই ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা উপকূলীয় বাসিন্দা, বাঁশবাড়িয়ার বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা বোয়ালিয়াকূল,জমাদারপাড়া, আকিলপুর, বাড়বকু- ইউনিয়নের হাতিলোটা, মাহামুদাবাদ, নড়ালিয়া, মান্দারীটোলা,পৌর সদরের আমিরাবাদ, দক্ষিণ মহাদেবপুর, চৌধুরীপাড়া, দাশপাড়া, পশ্চিম মহাদেবপুর, ইদিলপুর, শিবপুর, নলুয়াপাড়া, মৌলভীপাড়া, বড়ুয়াপাড়া, ফকিরহাট, মুরাদপুর, গোপ্তাখালি, মধ্যম মহাদেবপুর, সোবহানবাগ, গোডাউন সড়ক, শেখনগর, পেশকারপাড়া, বাঁশবাড়িয়া, মসজিদ্যা, ছোট কুমিরা ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ি পানিতে ডুবে আছে। পাইকগাছার ২০ গ্রাম স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস থেকে জানান, টানা বর্ষণে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সøুইচ গেট অকার্যকর হয়ে পড়া এবং প্রভাবশালীরা পানি নিষ্কাশনের খাল-নদীতে বাঁধ-জাল-পাটা দিয়ে মাছের চাষ করায় এ দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে পানিবন্দী হয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছেন চাঁদখালী ইউনিয়নের ২০ টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। জানা গেছে, নোনা পানি প্রতিরোধ করে কৃষিকাজের উপযোগী করার লক্ষ্যে উপকূলীয় এলাকায় ষাটের দশকে সরকারীভাবে ৩৫ টি উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ করা হয়। সে সময় উপকূলীয় এলাকা হিসেবে পাইকগাছাতেও কয়েকটি বাঁধ তৈরি করা হয়। যা এলাকাসীর কাছে ওয়াপদার বাঁধ বা বেড়িবাঁধ নামে পরিচিত। আশির দশকে বাণিজ্যিকভাবে চিংড়িচাষ শুরু হলে বেড়িবাঁধ যথেচ্ছভাবে কাটা হয়। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চিংড়ি চাষের জন্য সøুইচ গেটগুলোর নিযন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। এর পর থেকে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ গুলোতে ভাঙ্গন শুরু“ হয়। সøুইচ গেটগুলোর সামনে পলি জমে তা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এলাকার ছোট ছোট নদী ও খালে বাঁধ-জাল-পাটা দিয়ে মাছের চাষ করায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। মানবসৃষ্ট এই সমস্যার কারণে চলতি বর্ষা মৌসুমে পাইকগাছা উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় মারাত্মক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র জানায়, গত এক মাসের বৃষ্টিতে পাইকগাছা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে চাঁদখালী, গড়ইখালী, রাড়ুলী, গদাইপুর, সোলাদানা, লস্কর, কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। লতা ও দেলুটি ইউনিয়নের অবস্থা কিছুটা ভাল হলেও জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা চাঁদখালী ইউনিয়নের। এই ইউনিয়নের কলমিবুনিয়া, কৈয়াসিটিবুনিয়া, ওড়াবুনিয়া, চাঁদমুখী, কাটাবুনিয়া, ঢেমসাখালী, কানুয়ারডাঙ্গা, ফতেপুর, পূর্ব গজালিয়া, গড়ের আবাদ, গজালিয়া, বাদুড়িয়া, কমলাপুর, মৌখালী, ফেদুয়ার আবাদ, হাড়িয়ারডাঙ্গা, কালুয়া, চককাওয়ালীসহ ২০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে । অনেক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হাঁটুপানিতে ডুবে আছে । বহু ঘের প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার চিংড়িসহ সাদা মাছ। ভেঙ্গে পড়েছে এলাকার পয়ঃনিষ্কাশন ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। দেখা দিয়েছে ডায়ারিয়সহ পানিবাহিত নানা রোগ। ফেনীতে বাঁধ ভেঙ্গে ৫ গ্রাম প্লাবিত নিজস্ব সংবাদদাতা ফেনী থেকে জানান, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর বাঁধের সাহাপুর ও দৌলতপুর পয়েন্টে ১৫০ ফুট বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে পাহাড়ী পানির তোড়ে এই দুটি স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এ সময় মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ১২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রমজান আলী জানিয়েছেন। সাহাপুরের ভাঙ্গন স্থান দিয়ে প্রবাহিত পানির তোড়ে একটি বাড়ির ঘর ও গাছপালা বিলীন হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে ভাঙ্গন স্থানগুলি মেরামত করা হবে বলে নির্বাহী প্রকৌশলী রমজান আলী জানিয়েছেন। অপর দিকে ফেনী পৌর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে খাল এবং ড্রেনের উপর দোকানপাট নির্মাণের কারণে শহরের একাডেমি রোড, জেল রোড, হাসপাতাল রোড, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পাছপালাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। এতে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কক্সবাজারে বেড়িবাঁধ স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার থেকে জানান, মেরামত কাজ শুরু করার চারদিনের ব্যবধানে ফের ভারি বর্ষণে মাতামুহুরী নদীর পানির প্রবল চাপে ভেঙ্গে গেছে কক্সবাজারের চকরিয়ার চিরিঙ্গা পালাকাটা জেটি (রাবার ড্যাম) সড়কের আড়াই শত মিটার বেড়িবাঁধ। শনিবার দুপুরে পানির প্রবল চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে নদীর পানি। এ অবস্থায় প্রায় ১৫ হাজার অধিবাসী কার্যত পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন। মেরামত করা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওই অংশ দিয়ে নদীর পানি অনায়াসে ঢুকে পড়ছে পাশের গ্রামে। এতে এলাকার লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ও ইউপি মেম্বার আলী আহমদ বলেন, গত জুন মাসের শেষ দিকে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় চিরিঙ্গা ওই এলাকার বিশাল আয়তনের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। আমতলীতে কৃষকের সর্বনাশ নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) থেকে জানান, অতিবর্ষণে আমতলী ও তালতলী উপজেলার অধিকাংশ কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ৪০ হাজার কৃষষের সর্বনাশ দেখা দিয়েছে। পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় মাঠের পর মাঠ বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ করছে। আমন ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গিয়ে পচে গেছে। নতুন করে বীজতলা করতে পাছে না। আমনের বীজতলা তৈরিতে কৃষকরা ব্যর্থ হওয়াতে এ বছর আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করেছে কৃষি বিভাগ। মানিকগঞ্জে সবজিক্ষেত নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, মানিকগঞ্জ সদর, সিংগাইর, সাটুরিয়া ও শিবালয়ে সবজি চাষে জীবন চলে বহু মানুষের। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাতেও যায় এসব সবজি। কিন্তু অব্যাহত বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছে সবজি চাষিরা। খেতে পানি জমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শত শত হেক্টর জমির সবজি। শনিবার জেলার বিভিন্ন এলাকার সবজি চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের মাটি সবজির উপযোগী হওয়ায় এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ সবজি চাষের সাথে জড়িত। এ অঞ্চলগুলোতে লালশাক, বেগুন, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা, বরবটি, ডাঁটা, ঢেঁড়শ, ঝিঙা, পুঁইশাক, চাল কুমড়া, পানিকচু, মুখীকচু, পটল, মরিচের আবাদ হয়।
×