ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১০ জুলাই ২০১৫

পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এই নিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো উভয় পুঁজিবাজারেই সূচকের বৃদ্ধি ঘটল। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়লেও সূচকের বৃদ্ধির দিনে বুধবারের চেয়ে লেনদেন কমেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ছিল একই চিত্র। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ঈদ-উল-ফিতরের আগে শেয়ার বিক্রির চাপ কমে যাওয়ার কারণে উভয় বাজারে শেয়ারের ক্রেতা বেশি ছিল। এছাড়া অনেকেই কাক্সিক্ষত দাম না পেয়ে শেয়ার হাতছাড়া করতে চায়নি। ফলে দিনশেষে সূচকের তীরটি উর্ধমুখীই ছিল। ডিএসইর বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪৭৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৩ শতাংশ কম লেনদেন। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৪৯৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৯টির, কমেছে ১১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির শেয়ার দর। সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১৩৩ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৯৫ পয়েন্টে। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারে ডিএসইতে খাতওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাত। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯১ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ২০ ভাগ। এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৮ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল জ্বালানি এবং শক্তি খাত। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৩৬ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- গ্রামীণফোন, ইফাদ অটোস, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, এসিআই, বেক্সিমকো, অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, এএফসি এ্যাগ্রো এবং স্কয়ার ফার্মা। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আরামিট সিমেন্ট, ফাস্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, গোল্ডেন সন, এমবিএল১ম মিউচুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, এআইবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ইউনিক হোটেল এ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, পিপলস লিজিং, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল ও অলিম্পিক। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : উত্তরা ফাইনান্স, মুন্নু সিরামিক, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, বিডি অটোকারস, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, ইমাম বাটন, সোনালী আঁশ, আইএফআইসি ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, হাক্কানী পাল্প ও শমরিতা হাসপাতাল। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৭৩ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ৯৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড, ইউনাইটেড এয়ার, বেক্সিমকো, গ্রামীণফোন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, গোল্ডেন সন, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড ও খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
×