ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহী কারাগারে হাজতির আত্মহত্যা, পরিবারের দাবি নির্যাতনে মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৬ জুলাই ২০১৫

রাজশাহী কারাগারে হাজতির আত্মহত্যা, পরিবারের দাবি  নির্যাতনে মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মোহাম্মদ জনি নামের এক হাজতি আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার ভোর ৫টার দিকে কারাগারের ভেতরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। ভোরেই তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ৫টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জনি নগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকার মুক্তার হোসেন ভুট্টুর ছেলে। তবে জনির পরিবার দাবি করেছে, পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। জনির মা সেলিনা অভিযোগ করেন, রাজশাহী পুলিশ লাইনে বিকাশ কুমার নামে এক পুলিশ সদস্য কর্মরত আছেন। তিনি নগরীর বুলনপুর এলাকায় ভাড়া থাকেন। সম্প্রতি তার স্ত্রীর কানের দুল চুরি হয়। সেই চুরির কারণে শনিবার ভোরে পুলিশ কনস্টেবল বিকাশ স্থানীয় উত্তম নামে এক মাদকাসক্তের সহযোগিতায় তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান। ওই পুলিশ জনিকে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে বিকেলে জনিকে রাজপাড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। জনির ভাই রনি অভিযোগ করেন, জনিকে কানের দুল চুরির অভিযোগে ধরে আনা হলেও রাজপাড়া থানায় তাকে মোটরসাইকেল চুরির মামলায় আসামি করা হয়েছে। রাতের যে কোন এক সময় জনিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। রবিবার সকালে তারা পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পান যে, কারাগারে জনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ও রামেক হাসপাতালে মারা গেছেন। নগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, জনি এলাকার চিহ্নিত চোর। অনেক চুরির সঙ্গে জড়িত। মোটরসাইকেল চুরির মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শাহাদাত হোসেন বলেন, জনি ভোরে একটি জাম্বুরার গাছের ডালের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার পরে তার পকেট থেকে একটি তালাকনামা উদ্ধার করা হয়েছে, যেটি তার স্ত্রী তাকে দিয়েছেন। রবিবার দুপুরে জনির লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
×