ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবি ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়কদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবিতে কর্মসূচী অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৯ মে ২০১৫

ঢাবি ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়কদের  গ্রেফতার ও শাস্তি দাবিতে কর্মসূচী অব্যাহত

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বর্ষবরণের দিন ঢাবির টিএসসি এলাকায় বর্বরোচিত যৌন নিপীড়নের ঘটনার ২৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও জড়িতদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনার জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত টিএসসির উল্টোদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ মুখে প্রতীকী অনশন কর্মসূচী পালন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা-কর্মীরা। একই দাবিতে আগামী ১৫ মে সকাল নয়টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সাইকেল র‌্যালি বের করা হবে। প্রতীকী অনশন কর্মসূচীতে জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জোটের সাবেক সভাপতি নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সহসভাপতি মান্নান হিরা, ঝুনা চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান, সম্পাদক ম-লীর সদস্য রফিকুল ইসলাম, নাদের চৌধুরী, কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, আইটিআইবির সাধারণ সম্পাদক দেব প্রসাদ দেবনাথ, নৃত্য শিল্পী নিগার চৌধুরী প্রমুখ। কর্মসূচীতে কবিতা আবৃত্তি, প্রতিবাদ গান এবং দলীয় আবৃত্তি করা হয়। এতে অংশ নেন আরিফ রহমান, সালমা চৌধুরী, আবিদা রহমান সেতু, নায়লা তারান্নুম কাকলি, শিরিন ইসলাম, নাসির আজিজুল বাশার প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জড়িতদের কি কারণে গ্রেফতার করতে পারছে না সেটি সাংস্কৃতিক কর্মীদের বোধগম্য নয়। ফুটেজ দেখে বোঝা গেছে কোন একটি সংঘবদ্ধ চক্র উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া চিহ্নিতদের খুব সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সহায়তা নিয়েও কাজটি করা যায়। কিন্তু শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাটি নিয়ে উদাসীন। বক্তারা আরও বলেন, এই ঘটনার মাধ্যমে এদেশের নারী সমাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা না গেলে ঘটনার পুনরাবৃত্তিকে উৎসাহিত করবে। প্রয়োজনে চিহ্নিত ব্যক্তিদের ছবি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করে হলেও জড়িতদের গ্রেফতার করা উচিত। সভাপতির বক্তব্যে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, দেশের নারীদের নিরাপত্তা না দিতে পারাটা সংবিধানের লঙ্ঘন। কিন্তু আমরা বিশেষ বিশেষ উৎসবের দিনেও আমাদের নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারি না। টিএসসির ঘটনার পর প্রায় ২৫ দিন অতিবাহিত হতে চলল, কিন্তু জড়িতদের গ্রেফতার করা নিয়ে পুলিশের কোন তৎপরতা জনগণের চোখে পড়ছে না। ঘটনার সময়ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করার মধ্য দিয়েই পুলিশ বাহিনীর জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়া উচিত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে বেশ কয়েকটি গেইট নির্মাণ করা উচিত যাতে মানুষ এরকম উৎসবের দিনগুলোতে সবাই অবাধে যাতায়াত করতে পারে। অন্যসময়গুলোতে গেটগুলো বন্ধ রাখা যেতে পারে। বক্তব্যের পর তিনি পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
×