ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮০ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকছে

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮০ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮০ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পর্যাপ্ত পরিমাণ সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি করতে থাকছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মনিটরিং সেল। নির্বাচন পূর্ববর্র্তী, নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী তিনটি ধাপে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নিরাপত্তা জোরদার বা শিথিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। নিরাপত্তার কারণে শনিবার রাত বারোটা থেকে নির্বাচনের দিন দিবাগত রাত বারোটা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার সদস্যের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছে সেনাবাহিনী। যে কোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের। শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নির্বাচনে বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারসহ ৮০ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ডাকলেই সেনাবাহিনী চলে আসবে। নির্বাচনী মালামাল প্রস্তুত রয়েছে। চট্টগ্রামের মালামাল গত শুক্রবার পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে পুলিশ ও অন্যান্যসহ ১০ জন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এবং ১২ জন আনসার লাঠি নিয়ে আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১২ জন এবং ১২ জন লাঠি নিয়ে দায়িত্বে থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি করে পুলিশের মোবাইল দল নিয়োজিত থাকবে। প্রতি ২ ওয়ার্ডে র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তিন সিটিতে প্রায় একশ’ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। আজ সকাল ছয়টা থেকে ঢাকার বাইরে ১০৮ প্লাটুন এবং মহাসড়কের নিরাপত্তায় ৮৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে বিজিবি সদর দফতর জানিয়েছে। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় নিজস্ব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, নিরাপত্তার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন থাকছে। ঢাকা উত্তরে এক হাজার ৯৩টি আর দক্ষিণে ৮৮৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। উত্তরে ভোটারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে ১২ লাখ ২৪ হাজার ৭০১ জন পুরুষ। আর দক্ষিণের ভোটারের সংখ্যা ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ লাখ ৯ হাজার ২৮৬ জন। ঢাকায় ৯৩টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কেন্দ্রগুলো একক, যৌথ ও গুচ্ছ হিসেবে ভাগ করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৫৭টি সাধারণ এবং এক হাজার ৪২৯টি গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি দেখ-ভাল করতে সচিবালয়ের পাশে আব্দুল গণি রোডে স্থাপন করা হয়েছে প্রধান কন্ট্রোল রুম। আর গুলশান, তেজগাঁও এবং মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে একটি করে সাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে দক্ষিণের আর শেরে বাংলানগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলেন কেন্দ্র থেকে উত্তরের ফলাফল ঘোষিত হবে। ব্যালট সামগ্রী নিরাপদে পৌঁছে দিতে থাকছে বিশেষ নিরাপত্তা।
×