ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খুলনায় ১২শ’ একর খাস জমি বেদখল

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

খুলনায় ১২শ’ একর খাস জমি বেদখল

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনায় ১২ শতাধিক একর খাস জমি সরকারের হাতছাড়া। এর মধ্যে ২৫৬ একর খাস জমি অবৈধ দখলে এবং প্রায় এক হাজার একর খাস জমি নিয়ে মামলা- মোকদ্দমা থাকায় তা প্রশাসনের দখলে নেই। নদী ভরাটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে খাস জমি দখলের প্রতিযোগিতা। ভূমি অফিসের সঙ্গে যোগসাজশে গ্রাম-শহরের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও টাউট- বাটপাররা প্রকৃতি পরিবর্তিত শত শত একর খাস জমি দখল করে নিয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাবসহ আইনী জটিলতায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খাস জমি উদ্ধার অভিযান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা মহানগরীসহ জেলার ৯ উপজেলায় কৃষি ও অকৃষি খাস জমি রয়েছে ২২ হাজার ৯৫ একর। এর মধ্যে কৃষিজমি ২০ হাজার ৮৩৮ একর এবং অকৃষি জমির পরিমাণ এক হাজার ২৫৭ একর। কৃষি খাস জমির মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বন্দোবস্তু দেয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৩১৫ একর (প্রায়)। বন্দোবস্তযোগ্য জমি আছে এক হাজার ২৭৪ একর। অবৈধ দখলে রয়েছে ২৫৬ একর এবং মামলায় জড়িয়ে প্রশাসনের হাতছাড়া ৯৯৩ একর। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কৃষি খাস জমি রয়েছে ডুমুরিয়ায়। এই উপজেলায় কৃষি খাস জমির পরিমাণ হচ্ছে ৬৫৭৪.৭০০ একর । এ ছাড়া দাকোপ উপজেলায় ৪৩১৯.১০০ একর, পাইকগাছায় ৪০০৯.৫৫ একর, কয়রায় ২৭৮৯.৮৮ একর, বটিয়াঘাটায় ২০০১.২৯ একর, রূপসায় ৫২৯.৯৬ একর, তেরখাদায় ৪৩৪.৩৮একর, দিঘলিয়া ১৫৯.৫১৫ একর এবং ফুলতলা উপজেলায় ২১.৪৭ একর কৃষি খাস জমি রয়েছে। অকৃষি খাস জমি রয়েছে মহানগরী এলাকায় ২৩৩.৩২২ একর, রূপসা উপজেলায় ২২২,৭৩০ একর, তেরখাদায় ২.৬০০ একর, দিঘলিয়ায় ৬৯৭.৫৯৬ একর, ফুলতলায় ৪০.৮১০ একর, ডুমুরিয়ায় ২৮.১৪০ একর, বটিয়াঘাটায় ৮.১৩০ একর, দাকোপে ১৯.৯৫০ একর, কয়রায় ১৩.৯২০ একর এবং পাইকগাছা উপজেলায় .১০০ একর। অভিযোগ রয়েছে, খাসজমি প্রকৃত ভূমিহীনের মধ্যে বণ্টনের কথা থাকলেও অধিকাংশক্ষেত্রে ভূমিহীনরা তা পাচ্ছে না। বিত্তবানরা ভূমিহীন সেজে নানা কৌশলে নামে-বেনামে সরকারী খাস জমি দখলে নিয়ে ভোগদখল করছে। অবৈধ দখলদাররা দখলদারিত্ব বজায় রাখতে মামলা করে জমি ভোগদখল করছে। ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্র্তা-কর্মচারীর সঙ্গে এই মামলাবাজ ও দখলদারদের সখ্য রয়েছে। সূত্র জানায়, কয়রা উপজেলার কয়রা নদীর দুইপারের চরের প্রায় ৮০ একর খাসজমি দখল করে প্রভাবশালীরা চিংিড়ি চাষ করছে। একই উপজেলার মহারজপুর ইউনিয়নে প্রায় ৩০০ একর খাসজমি সম্প্রতি নদী ভাঙ্গনের শিকার ভূমিহীনদের মধ্যে একসনা লিজ দেয়া হয়। কিছুদিন পর স্থানীয় এক নেতা আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে ওই জমি দখল করে নেয়ন। এছাড়া ডুমুরিয়া উপজেলা এলাকায় বিভিন্ন নদীর চর দখল করে ইটভাঁটি তৈরির অভিযোগ রয়েছে।
×