
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফাইল ছবি
ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন বিল্ডিং অপসারণের টেন্ডার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সিডিউল ক্রয় করতে গেলে এক ঠিকাদারকে সিডিউল না দেওয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ভোলার একজন ঠিকাদার। তিনি নির্ধারিত সময়ে ব্যাংক থেকে সিডিউলের ফি ও পে-অর্ডার ক্রয় করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ দিন ঘুরলেও তাকে সিডিউল না দেওয়ায় টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। মেসার্স মামুন এনটারপ্রাইজ নামক ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী সোলাইমান এর পক্ষে ভোলা জজ কোর্টের আইনজীবী মোঃ জাকির হোসেন লিগ্যাল নোটিশ ইস্যু করেন। রবিবার ডাকযোগে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে ওই নোটিশ। এছাড়া লিগ্যাল নোটিশ জেলা সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্য সচিবের দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
ঠিকাদার সোলাইমান অভিযোগ করেন, লালমোহন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরীন পুরাতন ৪টি জরাজীর্ন ভবন অপসারণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্র নোটিশের আলোকে ভোলার মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের নামে সিডিউল ক্রয় করার জন্য ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সোনালী ব্যাংক লিঃ, লালমোহন শাখার কোড নং-১-২৭১১-০০০০-২৩৬৬ নাম্বারে ৪টি সিডিউলের জন্য-৪০০০/-(চাঁর হাজার) টাকা জমা দেন। এছাড়া উক্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণ করার জন্য এনআরবিসি ব্যাংক লিঃ এর ভোলার উপ শাখায় ০৪ টি কাজের বিপরিতে-১০ ভাগ জামানত বাবদ চার লক্ষ টাকার পে-অর্ডার গ্রহণ করেন, যার পে-অর্ডার নং-৫৮২২১৮৫, ৫৮২২১৮৬, ৫৮২২১৮৭, ৫৮২২১৮৮।
জমা স্লিপ নিয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব শাখায় সিডিউল ক্রয়ের জন্য গেলে সিডিউল ওইদিন না দিয়ে শনিবার যেতে বলে। শনিবার গেলে ওইদিনও সিডিউল সরবারহ না করে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন। ঠিকাদার সোলায়মান জানান, সিডিউল চাইতে গেলে তারা তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমানকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। পরবর্তীতে জেলা সিভিল সার্জনকে জানালে তিনি দেখতেছি বলেন। এভাবে সময় ক্ষেপন করে তার কাছে সিডিউল বিক্রি না করায় শনিবার সিডিউল ক্রয়ের নির্দিস্ট সময় শেষ হয়ে যায়। যার কারণে ভবন অপসারণের টেন্ডারে অংশ গ্রহন করতে পারেননি তিনি। ঠিকাদার আরো অভিযোগ করেন, নির্দিস্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে এই তালবাহানা করা হয়। এতে সরকার অনেক রাজস্ব হারিযেছে। উন্মুক্ত দরপত্র থাকলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পেতো বলে তিনি মনে করেন। সিডিউল না দেওয়ায় এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। উক্ত টেন্ডার বাতিল করে ক্ষতিপূরনের টাকা দেওয়ার ব্যাপারে কি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা নোটিশ প্রাপ্তির ০৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আমি অফিসে বসে ছিলাম। তখন পর্যন্ত উক্ত ঠিকাদারকে দেখিনি। তিনি সময়ের পরে এসে সিডিউল চাওয়ায় তাকে দেয়া হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মুহ: মনিরুল ইসলাম লিগ্যাল নোটিশ পেয়ে ৩দিনের মধ্যে জবাব দিবেন বলে জানান।
Jahan