
ভাওয়াল-মির্জাপুর-কালিয়াকৈর সড়েকে জনদুর্ভোগ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর-জামালপুর চৌরাস্তা সড়কে খানা খন্দে বেহাল দশা। এতে যান চলাচল বিঘ্ন ও চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তাটির বড়চালা গায়েন বাড়ির সামনেসহ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বেশ বড় বড় গর্তের সৃষ্টিসহ ভাওয়াল মির্জাপুর ব্রিজ পর্যন্ত ছোট বড় নানা সাইজের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ভাওয়াল মির্জাপুর হাজী জমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের রাস্তায় পানি জমে থানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
অনেক যানবাহনের চাকা গর্তের মধ্যে পড়ে গাড়ি আটকে আছে এবং জান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এ ছাড়া প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে বৃষ্টির পানি ওই সমস্ত খানাখন্দে জমে থাকায় গাড়ির চাকার চাপে গর্তগুলো বৃহৎ আকার ধারণ করছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলে সমস্যাসহ জনগণ হাঁটাচালাও করছে অনেক কষ্ট করে।
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা থেকে শত শত যানবাহন প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরসহ টাঙ্গাইল বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করে থাকে। রাস্তায় খানাখন্দের কারণে প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। যানজটের কারণে যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ট্রাক ড্রাইভার আব্দুর রহিম জানান এক বছর হয়নি রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে কিন্তু এরই মধ্যে রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানো খুব বিপজ্জনক।
এ ছাড়া রাস্তার দুই ধারে মাছের খামার রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে যাত্রীবাহী বিভিন্ন যান গর্তের কারণে উল্টে গিয়ে খামারে পড়তে পারে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনাসহ যাত্রীদের মৃত্যুর মতন ঘটনাও ঘটতে পারে। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালালে শুধু গাড়ির ক্ষতি হয় না যাত্রীদের শরীরের হাড়ের জোড়া, মস্তিষ্কেরসহ শরীরের ভিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়।
স্থানীয় মুস্তাক আহমেদ জানান, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে অসংখ্য যান চলাচল করে থাকে। রাস্তা খানাখন্দের কারণে অনেক সময় যাত্রীবাহী গাড়িসহ অন্যান্য গাড়ি উল্টে পড়ে যায়। এতে যাত্রীদের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে যান ও জন চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্যানেল হু