
দুর্ঘটনার আশঙ্কা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৪৪ নং চরগংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ১৫০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করছে পাঠদান। যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, এমন আশঙ্কায় দিন কাটছে শিক্ষার্থী, শিক্ষকও অভিভাবকদের।
স্থানীয় মেহেদী হাসান ও জহির হাওলাদার বলেন, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির ভবনটি নির্মিত হয়ে থাকলেও ঠিকাদারের অবহেলায় বালু, ইট, রড, লবণ পানি পেয়েছে যার কারণে মালামাল লবণ পানি পাওয়ায় অনেকটা নষ্ট হয়ে যায় এবং সেই মালামাল দিয়ে কাজ করার কারণে ভবনটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে ভবনটি ভেঙে পড়ার উপক্রম। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে, দরজা-জানালা ভেঙে গেছে, পিলার থেকে রড বেরিয়ে গেছে, দেওয়ালে ফাটলÑ সব মিলিয়ে পুরো স্কুল ভবন আজ এক আতঙ্কের নাম। কোথাও কোথাও মেঝেও দেবে গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যেমন ঝুঁকির মধ্যে ক্লাস করছে, তেমনি শিক্ষকরাও প্রতিনিয়ত আতঙ্ক নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমাদের বিদ্যালয়ে নতুন একটি ভবন পেয়েছে, ২০২১ সালে কাজ শুরু হয়েছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি।
স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা সাহরিমা সুলতানা জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, আর তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চলে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। শিক্ষক সংকট না থাকলেও শ্রেণিকক্ষ ও অবকাঠামোর ভয়াবহ সংকটে সুষ্ঠু পরিবেশে পাঠদান অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাওদামনি জানায়, মাঝে মাঝে ছাদের পলেস্তারা খসে মাথায় পড়ে। ক্লাস রুমে ওপর থেকে চুয়ে চুয়ে পানি পড়ে আমাদের ভিজে ভিজে পড়ালেখা করতে হয়। স্থৃানীয়দের দাবি, ৪৪ নং চরগংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন ভবনটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে শিশুদের জন্য নিরাপদ পাঠদান নিশ্চিত করা হোক। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ দাস বলেন, বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ,সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভবনটির ঠিকাদার শামীমের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব দাশ পুরকায়স্থ বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি এবং ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে ফোন দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবন এবং নতুন ভবনের কাজের বিষয় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্যানেল হু