
বয়সের ভাড়ে মাথার চুল মুখের দাঁড়ি সাদায় পরিনত হয়েছে। গায়ের চামড়া ঝুলে গেছে তীব্র গরমে মাথার উপড় একটি ছাতা লাঠিতে বেঁধে থরথর শরীরের কেঁপে কেঁপে ইটের আদলা দিয়ে খোয়া ভেঙ্গে সংসার পরিচালনা করছেন পাবনা হেমায়েতপুরের বাদশা শেখ (৭৩)। জীবন দশায় বিভিন্ন কাজ করেছে তিনি। কিন্তু বর্তমান তার শরীরিক অবস্থা খারাপ হলেও কাজ ছাড়া চলা মুশকিল বাদশা শেখের।
তিন মেয়ে একছেলের সংসার তার। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে। দ্রব্য মূল্যের চড়া দামের কারণে ছেলে একা সংসার চালাতে পারছে না। তাই জীবনের শেষ সময়েও ইটের খোয়া ভেঙ্গে সংসারের মৌলিক চাহিদা মেটাতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।
এলকায় স্বাদামাঠা সহজ সরলের প্রকৃতির মানুষ বলেই পরিচিত তিনি। তার ব্যবহার আচারের কারণেই কাজ ঠিক মতো করতে না পারলেও তাকে কাজে নিয়েছে। তার সততায় মুগ্ধ হয় মানুষ। নম্র ভদ্র কাজের গতি খুবই অল্প তবে ফাঁকিবাজ নয় মনোযোগ দিয়েই কাজ করেন নিয়মিত। শেষ বয়সে এত কঠোর কাজ করা কঠিন হলেও জীবিকার তাগিদে করতে হয়। মেয়ে নাতিরা আসে তাদের জন্য হলেও কাজ করি। নাতিরা তো নানার কাছে বিভিন্ন আবদার করে তাদের মুখে হাঁসি দেখার জন্য কাজে আসি প্রতিদিন এমন ভাবেই কথা বলেছেন বাদশা শেখ। ঈমানের সাথে মৃত্যু হলেই জীবন সার্থক, পৃথিবীতে কষ্ট হলেও পরকালে শান্তুি চাই বলেন তিন।
আঁখি