
“একের রক্ত, অন্যের জীবন—রক্তই হোক আত্মার বাঁধন” এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ‘বাঁধন’-এর সরকারি বাঙলা কলেজ ইউনিট। সম্প্রতি সংগঠনটি তাদের ছয় বছর পূর্ণ করে পদার্পণ করেছে সপ্তম বর্ষে।
২০১৯ সালের ২১ জুলাই যাত্রা শুরু করে এ ইউনিটটি। যাত্রার শুরু থেকেই তারা সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের এলাকার মানুষের পাশে থেকেছে রোগীর জন্য রক্ত জোগাড়, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়সহ নানাবিধ মানবিক কার্যক্রমে।
এই ছয় বছরে বাঁধন, সরকারি বাঙলা কলেজ ইউনিট ৬১৬৮ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করেছে এবং ৫৭৪৯ জনকে দিয়েছে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের সুযোগ। এই সেবার ফলে বহু জীবন বেঁচে গেছে এবং বহু মানুষ পেয়েছে প্রয়োজনীয় সহায়তা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মাইলস্টোন ট্রাজেডিতেও সংগঠনটি তাৎক্ষণিকভাবে রক্ত সংগ্রহ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাদের কার্যক্রম শুধুমাত্র রক্তদানেই সীমাবদ্ধ নয়। ডেঙ্গু সচেতনতা, ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ এবং দুর্যোগকালে ত্রাণ সহায়তাসহ নানাবিধ সামাজিক উদ্যোগেও তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এই সকল কাজে সংগঠনের কর্মীরা যেমন পরিশ্রম করেছে, তেমনি কলেজ প্রশাসন, শিক্ষকগণ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও সহযোগিতা করেছেন প্রতিটি ধাপে।
এ বিষয়ে বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী ও এ ইউনিটের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বলেন, ''আজকের এই দিনে আমরা কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সরকারি বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠায় যারা জড়িত ছিলেন, ভাষা আন্দোলনের শহিদদের, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের, এবং ২৪ জুলাইয়ের বিপ্লবের শহিদদের। বিশেষ শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসের সেই দুই শহিদকেও, যাঁরা নিজেদের রক্ত দিয়ে মানবিক আন্দোলনের প্রতীক হয়ে আছেন। ইনশাআল্লাহ, বাঁধন, সরকারি বাঙলা কলেজ ইউনিট আগামীতেও মানবতার জয়গানে এগিয়ে যাবে, যদি আপনারা আমাদের পাশে থাকেন।"
সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি নাগরিককে নিজের রক্তের গ্রুপ জেনে স্বেচ্ছায় রক্তদানে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে আর কোনো প্রাণ রক্তের অভাবে ঝরে না পড়ে।
আঁখি