ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ফেনীতে হাঙ্গার প্রজেক্টের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত: ০০:১৩, ২৩ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০০:১৪, ২৩ জুলাই ২০২৫

ফেনীতে হাঙ্গার প্রজেক্টের মতবিনিময় সভা

শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থ পরিহার করে দেশের স্বার্থ মাথায় রেখে যার যার জায়গা থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করলেই বিশৃঙ্খলা এড়ানো সম্ভব। সংঘাত পরিহার করে শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন; রাষ্ট্রের সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ ও উদ্যোগের মাধ্যমেই হতে পারে।গণমাধ্যমকর্মীরাও এ উদ্যোগের বাইরে নয়; বরং তারা গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।


গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহরের বেস্ট ইন চাইনীজ রেস্টুরেন্টে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনে সাাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক মতিবিনিময় সভায় বক্তাগণ এসব কথা বলেন। ‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এফসিডিও’র অর্থায়নে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ’র মাল্টি স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ ফর পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি- এমআইপিএস প্রকল্প আয়োজিত সভায় এসব বিষয় উঠে আসে। যেখানে অংশ নেন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমের ফেনী জেলার শীর্ষ পর্যায়ের ২৪ জন গণমাধ্যমকর্মী।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সৈয়দ মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সুজন-সূশাসনের জন্য নাগরিক ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। সভার শুরুতেই ঢাকায় মাইলস্টোন স্কুল ট্রাজেডিতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।


সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশনে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ও এমআইপিএস এর কার্যক্রম সম্পর্কে সংস্থাটির জেন্ডার ও ইউথ এমপাওয়ারমেন্ট এক্সপ্র্টা শারমীন সুলতানা লাবন্য সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি জানান, সম্মিলিত উদ্যোগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতার ঘটনা চিহ্নিত, প্রতিরোধ, প্রশমন ও নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং সকলের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি জোরদার করাই এমআইপিএস প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের ২৭ টি জেলার ৭৪টি উপজেলা এমআইপিএস কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি, সমাজের বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি সাংবাদিকবৃন্দও এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। সাংবাদিকদের সাথে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার লক্ষ্যেই এই মতবিনিময় সভার আয়োজন বলে জানান লাবন্য।


গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, সহিংসতার মূল কারণ রাজনৈতিক অসহিঞ্চুতা, নীতি নৈতিকতার অভাব। রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ ও প্রশাসনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব দেন দৈনিক দেশ রুপান্তরের প্রতিনিধি শফিউল্লাহ রিপন। ভুল ও অপতথ্যে কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং সাংবাদিকরা যেনো সঠিক তথ্যটি তুলে আনতে পারে সেজন্য দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’র কাছে সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজনের প্রস্তাব করেন উপস্থিত কয়েকজন। সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা আয়োজনের প্রস্তাব করেন এখন টিভি প্রতিনিধি সোলায়মান হাজারী ডালিম। জেষ্ঠ্য সাংবাদিক ও ডেইলি স্টার প্রতিনিধি আবু তাহের ভুইয়া বলেন, কোনো কোনো সাংবাদিকের অতি উৎসাহের কারণে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। সুসাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করলে এর থেকে পরিত্রাণ সম্ভব। তথ্যপ্রবাহ বৃদ্ধি ও পারষ্পারিক যোগাযোগ সহজ করতে ফেনী জেলার সাংবাদিকদের নিয়ে একটি হোঅ্যাটঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।


সভায় সংগ্রাম প্রতিনিধি একেএম আবদুর রহীম, পিস ফ্যাসিলিলেটর গ্রুপ (পিএফজি) ফেনী সদর উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মোর্শেদ হোসেন, মানবজমিন প্রতিনিধি নাজমুল হক শামীম, বণিকবার্তা প্রতিনিধি নুর উল্যাহ কায়সার, দেশ রুপান্তর প্রতিনিধি শফি উল্যাহ রিপন, এখন টিভি প্রতিনিধি সোলায়মান হাজারী ডালিম, পিস ফ্যাসিলিলেটর গ্রুপ (পিএফজি) পরশুরাম উপজেলা কো-অর্ডিনেটর এম এ হাসান, ফুলগাজী উপজেলা কো-অর্ডিনেটর কবির আহম্মদ নাছির, দাগনভূঞা উপজেলা কো-অর্ডিনেটর কাজী ইফতেখারুল ইসলাম, সোনাগাজী উপজেলা পি এফ জি- পিস এম্বাসেডর আমজাদ হোসাইন, আমজাদুর রহমান রুবেল, মো: মহিউদ্দিন প্রমুখ।


মতবিনিময় সভায় দি হাঙ্গার প্রজেক্টের এমআইপিএস প্রকল্পের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর রাসেল আহমেদ, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর খোদেজা বেগম ও কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিকেশন অফিসার এএসএম আতিকুর রহমান।

আঁখি

×