ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

সারাদিনই অস্থিরতা ও বিভ্রান্তি: সকালের এই অভ্যাসটিই নষ্ট করছে আপনার গোটা দিন

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৩ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০৫:৫৯, ২৩ জুলাই ২০২৫

সারাদিনই অস্থিরতা ও বিভ্রান্তি: সকালের এই অভ্যাসটিই নষ্ট করছে আপনার গোটা দিন

ছবি: প্রতীকী

সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ খুলতেই মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখাআজকের দিনে প্রায় সবার স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কেউ খোঁজ নেন মেসেজ, কেউবা নোটিফিকেশন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর। কিন্তু নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্নায়ুবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ড. ওয়েন্ডি সুজুকি বলছেন, এই অভ্যাস আপনার মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে তার ‘মাইন্ডফুল মানডে’ সিরিজের একটি ভিডিওতে ড. সুজুকি জানান, ঘুম থেকে জেগে ওঠার পরপরই আমাদের মস্তিষ্ক থাকে এক বিশেষ অবস্থায়তিনি একে বলেন ‘পিক নিউরোপ্লাস্টিক মোড’। এই সময় মস্তিষ্কের শেখার ও নতুন অভ্যাস গঠনের ক্ষমতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে।

স্নায়ুবিজ্ঞানীদের মতে, ঘুম থেকে ওঠার পর মস্তিষ্কে ডোপামিন ও কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। কর্টিসল, যাকে সাধারণত ‘স্ট্রেস হরমোন’ বলা হয়, এই সময়ে মনোযোগ বাড়াতে ও লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ, দিন শুরুর এই সময়টাই সবচেয়ে উপযুক্ত নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ, সৃজনশীল চিন্তা ও মানসিক প্রস্তুতির জন্য।

কিন্তু যখন আমরা মোবাইল হাতে নিইনোটিফিকেশন, ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়ার খবরসবকিছু একসাথে মস্তিষ্কে আঘাত হানে। এতে করে মস্তিষ্ক চলে যায় ‘হাই-অ্যালার্ট’ মোডে। অর্থাৎ, উদ্বেগ, বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা দিয়ে শুরু হয় দিনটি।

ড. সুজুকির ২০ মিনিটের ছোট্ট পরামর্শ

এই ক্ষতিকর চক্র থেকে বের হতে ড. সুজুকির সহজ পরামর্শসকালবেলার প্রথম ২০ মিনিট মোবাইল না ছুঁয়ে অন্য কিছু করুন। উদাহরণস্বরূপ:

  • হালকা স্ট্রেচিং
  • দিনের লক্ষ্যগুলো লিখে ফেলা
  • নিরিবিলি চা বা কফি উপভোগ করা
  • প্রার্থনা বা ধ্যান

এই ২০ মিনিটের ডিজিটাল বিরতি মস্তিষ্ককে রাখতে পারে শান্ত, মনোযোগী ও সৃজনশীল। বিশেষজ্ঞের মতে, এই সামান্য পরিবর্তনই আপনার ফোকাস, সুখ ও উৎপাদনশীলতায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

রাকিব

×