
মেহেরপুর জেলা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার এটি। জেলার চাহিদা অনুযায়ী মাছের রেণু ও পোনা উৎপাদন করে মাছ চাষীদের মাঝে সরবরাহ করার কথা থাকলেও হচ্ছে না সে কার্যক্রম। অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রেনু উৎপাদন কেন্দ্রটি। আর পোনা উৎপাদনের জন্য পুকুরগুলো পড়ে রয়েছে অযত্নে। নামমাত্র পরিমাণে পোনা উৎপাদন করা হলেও তার অধিকাংশ ব্যবহার করা হয় সরকারি অবমুক্তকরুন কর্মসূচিগুলোতে। অথচ জেলার মাছের রেণু ও পোনার চাহিদা পূরণ করতে মাছের রেণু আনতে হয় যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া থেকে। ফলে মানসম্মত মাছ উৎপাদনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ মাছ চাষীদের। তারা বলেন, এটি মেহেরপুরে উৎপাদন করা গেলে কমতো মাছের উৎপাদন ব্যয়। লাভবান হতে পারতেন চাষিরা। মৎসচাষী মোমিনূল ইসলাম বলেন আমদের মাছের রণু পোনা বিভিন্ন জেলা থেকে কিনে আনতে হয় যদি আমাদের মেহেরপুরের মৎস খামারে সব ধরণের মাছের রেণু উৎপাদন হতো তাহলে কম দামে রেণু পেতাম । আরেক বড় মৎস চাষী গুরু হালদার বলেন মেহেরপুরে বড় বড় জলাশয়ে মাছ চাষ হয়ে থাকে কিন্তু মানসম্মত রেণু পেনার অভাবে মাছ উৎপাদনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ চাষিদের অতচ মৎস্য খামার ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র থাকলেও তা কাজে আসছে না জেলার মাছ উৎপাদনে।
খামারের কর্মচারীরা জানান, পানিতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকায় ডিম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে মাছের রেণু উৎপাদন করা যাচ্ছে না। মেহেরপুর মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের ম্যানেজার ইকবাল শরীফ বলেন বালুমাটি, আয়রন যুক্ত পানি, বরাদ্দের অপ্রতুলতা আর জনবল সংকটের কারণে রেনু ও পোনা উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না পুকুর সংস্কারের পাশাপাশি ফিলটার বসানো গেলে সংকট কাটবে। এখানে আইওটি বেসড পুকুর হওয়ার কথা রয়েছে। এটি হলে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। মেহেরপুর মৎস্য কর্মকর্তা সাধন চন্দ্র সরকার বলেন, হ্যাচারি তৈরি করতে বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। উল্লেখ্য, জেলায় ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জলায়তনে মাছ চাষ করেন ৬ হাজার ৯০৯ জন। আর জেলে রয়েছেন ২ হাজার ২৩০ জন।
আঁখি