
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেসরকারিভাবে গড়ে উঠা নার্সারির ৬ লক্ষ ২৭ হাজার পরিবেশ বিধ্বংসী আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার পশ্চিম শীলেরতুয়া পাড়ার মেসার্স সাইমুম নার্সারির চারা ধ্বংসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লামা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি নার্সারি গড়ে উঠেছে। তন্মধ্যে ১৭টি নার্সারিতে পরিবেশ বিধ্বংসী আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা উৎপাদন ও বিপণন করা হয়। উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নার্সারিতে গিয়ে চারা গণনা করার পর নার্সারির মালিকদের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার পরেই গাছগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। এ ধ্বংস প্রক্রিয়ায় নার্সারি মালিকদেরকে প্রতি চারার জন্য ৪ টাকা করে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ যৌথভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
এদিকে পরিবেশ বিধ্বংসী গাছের চারা ধ্বংস করা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাহী অফিসার মো. মঈন উদ্দিন বলেন, আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছগুলো মাটির গভীর থেকে প্রচুর পানি টেনে নেয়। যার কারণে আশেপাশের অন্য গাছ লাগানো হলে তারা পানির অভাবে বড় হতে পারে না এবং যতটুকু ফলন হওয়ার তার চেয়ে অনেক কম হয়।
লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান সোহেল বলেন, মাটির উর্বরতা নষ্ট করে ফেলে আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের গাছগুলো। তাই বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এসব চারা গাছ ধ্বংসের উদ্যোগ নেয়।
তিনি আরও বলেন, সাইমুম নার্সারির ১ লক্ষ ৫৫ হাজার আকাশ মনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য সবক’টি নার্সারিতে উৎপাদিত পরিবেশ বিধ্বংসী গাছের চারাও ধ্বংস করা হবে।
চারা ধ্বংস করার সময় লামা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লা হিল মারুফ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাকিলা আক্তার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’র উপজেলা আমীর মোহাম্মদ ইব্রাহিম, উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অভিজিৎ বড়ুয়া ও নার্সারির মালিক মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজু