
ছবি: জনকণ্ঠ
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদী ইউনিয়নের হলতা খালের উপর স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি ৫৪ বছর পার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি।
যুগের পর যুগ ধরে পাঁচ গ্রামের ২০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে এই বাঁশের সাঁকো। এতে সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের। চরাদী ইউনিয়নের চরাদী ও ছাগলদী দুই গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া হলতা খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন, চরাদী, হলতা, স্বন্তোসদী, মকিমাবাদ, দক্ষিণ চরাদী ৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে। বাঁশের সাঁকোর এই ভোগান্তি নিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ করা হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসেনি।
স্থানীয়রা জানায়, হালতা খালের উপর এই সাঁকোটি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রতিবছর সাঁকোটি মেরামত করা হয়। বাঁশ আর সুপারি গাছ দিয়ে নির্মাণ করা সাঁকোটি এখন বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে নড়বড় হয়ে গেছে। যে কোন সময় খালের মধ্যে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এইখানে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি কেউ।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সাঁকোটির স্থানে একটি সেতু নির্মাণ করে পাঁচ গ্রামের মানুষের জন ভোগান্তি নিরসন করার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে ছাগলদি নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা, আতাহার উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ, ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছাগলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরে বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ হলতা বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে এই বাঁশের সাঁকো পারাপার হয়ে।
ছাগলদি নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র ইমন জানান, "বাঁশের সাঁকো পার হয়ে মাদ্রাসায় আসার সময় খালে পরে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলাম। সাঁকোর বাঁশ পেটে ঢুকে আমার একটা কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে।"
বাকেরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মো: হাসনাইন আহমেদ জানান, সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
Mily