
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মো. মিলন মিয়া (২৪) নামে এক হোটেল শ্রমিক নিখোঁজ হওয়ার ১৬ দিন পার হলেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। আকস্মিকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। শোক, উৎকণ্ঠা ও অশ্রুসিক্ত অপেক্ষায় প্রতিটি মুহূর্ত পার করছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
নিখোঁজ মিলন মিয়া দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের মো. সাঞ্জু মিয়ার ছেলে। তিনি সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব বাইপাস মোড়ে অবস্থিত একটি হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুলাই (রোববার) সকালে মিলন মিয়া স্থানীয় ফারুকের মোড় (মুছির মোড়) এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। তবে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আশ্চর্যের বিষয় তিনি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও ঘরে রেখে গেছেন, যা পরিবারকে আরও উদ্বিগ্ন করে তোলে। নিখোঁজের সময় মিলনের গায়ের রং ছিল হালকা ফর্সা, পরনে ছিল জিন্স প্যান্ট ও কালো টি-শার্ট।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, আত্মীয়স্বজন ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও মিলনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে তারা সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ মিলনের সঙ্গে এলাকার কারো কোনো শত্রুতা কিংবা পারিবারিক কলহ ছিল না।
নিখোঁজ শ্রমিকের ছোট ভাই ওসামাবিন লাদেন ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই মনে হয় ভাই ফিরে আসবে। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, আমরা ততই ভেঙে পড়ছি। শুধু চাই, সে যেন নিরাপদে ফিরে আসে। কেউ যদি তার কোনো সন্ধান জানেন, অনুগ্রহ করে আমাদের জানান।’
মা কলিমন বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল, তারপর আর ফেরেনি। কোথায় গেছে, কী হয়েছে, কিছুই জানি না। বুকের ধন হারিয়ে ফেলেছি। যদি কেউ তাকে কোথাও দেখে থাকেন, দয়া করে জানিয়ে দিন বা ফিরিয়ে দিন।’
নিখোঁজ হোটেল শ্রমিক মিলনের সন্ধান পেলে নিকটস্থ থানায় বা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘নিখোঁজ মিলনের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হওয়ার পর থেকেই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
রাজু