
ছবি: জনকণ্ঠ
নান্দাইল উপজেলায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পৃথক স্থানে আটজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের স্মরণে নিহতদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের নিচে এক কর্নারে ‘জুলাই জাগরণ’ নামে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার। ব্যতিক্রম এই আয়োজন দেখতে উৎসুক লোকজন ছুটে আসেন। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত এ প্রর্দশনী চলবে।
জানা গেছে, উপজেলার দেউলডাংরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জামান মিয়া (২৫), সাভার গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবীর(২৫), চামারুল্লাহ গ্রামের আব্দুল আজিজ কসুমের ছেলে রেজাবায়েদ হোসেন (১৬), নয়াপাড়া গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে সাকিবুল হাসান সাজু (২১), সিংদই কাকদ্বারা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে জুয়েল মিয়া (২৮), মাদারিনগর গ্রামের একে এম শহিদুল ইসলাম (৫২) ও মোহনপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে ইমরান (১৫) সহ আটজন জুলাই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। জীবদ্দশায় তাঁরা যে সব জিসিপত্র ব্যবহার করতেন তা সংগ্রহ করে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। তার মধ্যে ছিল প্যান্ট, শার্ট, লুঙ্গি, চশমা, ঘড়ি, টুপিসহ আরও অনেক কিছু। এসময় প্রদর্শনীতে এসে শহীদদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে যায়।
উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রদর্শনীর জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন সাংবাদিক আলম ফরাজী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিষয়টি সবার কাছে তুলে ধরার চিন্তা থেকে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রদর্শনী দেখতে এসে অনেকেই আবেগাপ্লুত হতে দেখা গেছে।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, "জুলাই যোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্র নিয়ে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনটি আমরাই প্রথম করতে পেরেছি। শহীদদের স্মৃতিবিজড়িত জিনিস দেখে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। শহীদদের ব্যবহৃত জিনিসগুলি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
Mily