ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ

প্রকাশিত: ২১:০১, ১৭ জুলাই ২০২৫

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করার জেরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেনের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সমন্বয়ক এলমা খাতুনের স্বামী শিমুল হোসেনকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিমুল হোসেন নিজের নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার রাত ১২টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি নং ১০৩৭) করেছেন। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ নেতার হুমকি দেওয়ার একটি অডিও কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছাত্রনেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

অভিযুক্ত সজিব হোসেন শৈলকুপা উপজেলার কদমতলা গ্রামের আনজির হোসেনের ছেলে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

সাধারণ ডায়রিতে শিমুল হোসেন উল্লেখ করেছেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তথ্য ও ভিডিও ধারণের দায়িত্ব পালন করতেন এবং একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে তিনি শহরের ২ নম্বর পানির ট্যাংকি পাড়ায় নিজের "শিমুল মিডিয়া" ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। ওই সময় সজিব হোসেন ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কল করে জানতে চান কেন তিনি ভিডিও শেয়ার করেছেন।

জবাবে শিমুল বলেন, "এই ভিডিও সবাই তো শেয়ার করছে। আমি করলে দোষ কি?" সেসময় সজিব হোসেন বলেন, "সবাই করুক তুই করবি ক্যা।" এক পর্যায়ে হুমকি দিয়ে সজিব হোসেন বলেন, "জুলাই তো আরো আসবে, সামনের জুলাই তুই কনে থাকবি? তুমার চোখে গুলি করে হত্যা করা হবে।"

হুমকি সম্বলিত এই অডিও কল রেকর্ড বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছাত্রনেতাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট শিমুল হোসেন গত বছরের জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সমন্বয়ক এলমা খাতুনের স্বামী। তিনি ভিডিও এডিটিং ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত আছেন।

এ বিষয়ে জানতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই মনোজ কুমার অভিযোগটি তদন্ত করছেন। আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।"

ফারুক

×