
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির এড. রুহুল আমিন বলেছেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ শুধু রাজনৈতিক শোডাউন নয়, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট উত্তরণের মাধ্যম ।
১৯ জুলাই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে জেলা জামায়াত আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমির এড. রুহুল আমিন আরো বলেন, “আগামী ১৯ জুলাই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলাম জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে। আমরা এদেশে গণতন্ত্র ও মূল্যবোধ টিকিয়ে রাখার জন্য মানবিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়ে রাজনীতি করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় এই সমাবেশ খুবই ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করছি। এই সমাবেশ গতানুগতিক কোনো সমাবেশ নয়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এই সমাবেশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সমাবেশ শুধু রাজনৈতিক শোডাউন নয়, বরং এর মাধ্যমে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট থেকে উত্তরণে একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো হবে। এই ৭ দফা শুধু আমাদের দলের দাবি নয়, বরং এটা সমগ্র দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের গণতান্ত্রিক ও মানবিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে।”
৭দফা দাবিগুলো হলো সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জেলা সহকারী সেক্রেটারি এড. রাসেলের উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের, অর্থ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, পৌর জামায়াতের আমীর এড. হাসিবুল ইসলাম, পৌর নায়েবে আমীর মাহবুব আশিক, ছাত্র শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি হাফেজ এমদাদুল্লাহ জামেন ও হুমায়ুন কবির।
মিরাজ খান