
দৈনিক জনকণ্ঠ
ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করলে ও এখনো কমেনি দুর্ভোগ। ২৪-এর খত না শুকাতেই, পঁচিশের বানের জল এসে কেড়ে নিলো মানুষের শেষ সম্বলটুকু। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার শতাধিক বাড়িঘর। তাদের কেউ বাস করছে খোলা আকাশের নিচে কেউবা আবার অন্যের ঘরে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রশাসনের।
এটি কোন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ধ্বংস স্তূপ নয় ।এটা গত ৮ জুলাই উজান থেকে নেমে আসা ভারতের পাহাড়ি ঢলে সব তছনছ করে দেয়া ধ্বংস লীলার চিত্র। ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের উত্তর ধনী কুন্ডা গ্রামের ধোপা বাড়ির মনোরঞ্জন দাসের ছেলে বিমল দাস, ২লাখ টাকা ঋণ করে তৈরি করেছেন স্বপ্নের ঘর।
বন্যার স্রোতের প্রবল বেগে তার ঘরটিও মিশে গেছে মাটির সাথে। মা, ছেলে মেয়েকে নিয়ে কোথায় মাথা গোঁজাবে, সে দুশ্চিন্তায় তাদের হাহাকার ভেসে বেড়াচ্ছে বাতাসে।এখন সে বাস করেন অন্যের ঘরে।শুধু বসতঘর নয় বন্যা হানা দিয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও।
একই উপজেলার উত্তর ধনীকুন্ডা ধোপাবাড়ি মোড়ে জাফর ইবনে আল মনসুরের ফাতিহা স্টোরও ভেসে গেছে বন্যায়।তার সেই ঘরহারা ভিটেতে ঘুরে ফিরে দেখছেন ধ্বংসের শেষ চিহ্ন। তার দোকানে সাড়ে তিন লাখ টাকার পুঁজি, ব্যাংকের ঋণ এখন স্মৃতি। সেই দুই ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তিনি।তাদের মত এই রকম বন্যা কেড়ে নিলো আরও একশটির বেশী ঘর বাড়ি। শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে তারা এখন ঘুরছেন অন্যের দুয়ারে দুয়ারে ।
তাদের ছেলে মেযে সংসার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
সরকারি সহায়তা পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, এমন প্রত্যাশা তাদের।দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যে প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুনর্বাসনে দ্রুত ক্ষয় ক্ষতি নিরূপণ করে তালিকা দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে, জানালেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবিক মো. ইসমাইল হোসেন,গত ৯ বছরে ফুলগাজী পরশুরামের মুহুরি,কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর নদীর ১২২ কিলোমিটার বাধ ভেঙেছে ১৯৪টি স্থানে।
হ্যাপী