ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

ইবি ছাত্রীকে মারধর, জনি বাসের রূট পারমিট বাতিলের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ২১:০৩, ১৫ জুলাই ২০২৫

ইবি ছাত্রীকে মারধর, জনি বাসের রূট পারমিট বাতিলের দাবি

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ার প্রতিবাদ করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে বাসের সহযোগীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাস ফেরার পথে জনি পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিচার দাবিতে প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে একই কাউন্টারের মাধ্যমে চলাচল করা রূপসা পরিবহনের চারটি ও জনি পরিবহনের একটি বাস আটকে রাখেন। এসময় তারা অভিযুক্তের শাস্তি নিশ্চিত, ছাত্রীকে ক্ষতিপূরণ, ক্যাম্পাস থেকে জনি পরিবহন বাতিল এবং জনি পরিবহনের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রূট পারমিট বাতিলের দাবি জানান।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, তিনি বগুড়া থেকে বাসে ক্যাম্পাসে আসছিলেন। কুষ্টিয়ার চৌড়হাসে তিনি নেমে ক্যাম্পাসে আসার জন্য জনি পরিবহনে উঠেন। বাস সহকারীর সঙ্গে তিনি নির্ধারিত ভাড়া ২৫ টাকা দেওয়ার কথা বলে উঠলেও পরে তিনি ৪০ টাকা নেন। এর প্রতিবাদ করলে বাস সহকারী তাকে বলেন, ‘কোথাকার অশিক্ষিত মেয়ে তুমি? ভাড়া কত এটা আমরা জানি না? নাটক শুরু করছো?’ তখন ভুক্তভোগী ছাত্রী তার স্বামীকে ফোন দিতে গেলে ফোন কেড়ে নিয়ে গায়ে আঘাত করে। মুখে ঘুষি, বাপ-মা তুলে গালিগালাজসহ ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে জোর করে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বলেন, বাস হেলপার ওই ছাত্রীর সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে এবং অনেক মেরেছে। পরে তাকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. খুরশিদা জাহান বলেন, ওই মেয়ে হাতে, কপালে, মাথায় এবং নাকে আঘাত পেয়েছে। গুরুতর কিছু হয়নি। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে থাকতে বলেছি।  

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, মালিক সমিতি, বাস মালিক ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি পাঠাবে। অভিযুক্তরাও আসবে। সবাই বসে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। জনি পরিবহনের মালিক আনিস মিয়া বলেন, আমি বাস মালিক সমিতিকে অবগত করেছি। তারা প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন। 

আঁখি

×