
কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, “যারা চাঁদা নেয়, তারা কু-সন্তান। এ কু-সন্তানদের প্রতিরোধ করতে হবে। প্রতিটি দোকানে লাঠি রাখতে হবে। যারা চাঁদা চাইতে আসবে, তাদের হাত-পা ভেঙে দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ চাঁদা দেন, তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি অন্যায়কারীদের সাহায্য করছেন। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলছি, কাউকে চাঁদা দেবেন না। যদি কেউ চাঁদা দাবি করে, তাদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করুন। আর যদি আপনারা না পারেন, তাহলে সরাসরি আমাকে জানান। আমরা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”
সোমবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জুয়েল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সহ-সভাপতি ও নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, সহ-সভাপতি এস এম আসলাম, সহ-সভাপতি রওশন আলী এবং যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জে এক সময় একজন গডফাদার ছিলেন শামীম ওসমান। তার লালিত সন্ত্রাসী ছিল সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের সাত খুনের ফাঁসির প্রধান আসামি। সে এলাকায় নগ্ন নৃত্য, জুয়া, মাদক বিক্রি করে স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছিল। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা নামাজ-রোজা করে তার সঙ্গেও ভাগ-বাটোয়ারায় বসেছিল। এ বিষয়ে প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আজকে পলাতক সাত খুনের প্রধান আসামির ভাই এবং ভাতিজা এখানে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে। কিভাবে নির্বাচিত হয়েছে তা আপনারা জানেন। নির্বাচিত হয়ে তারা কীভাবে লুটপাট, অন্যায়-অত্যাচার, জায়গা জমি দখল ও চাঁদাবাজি করেছে, সেসবও আপনারা জানেন। আজ তারা পলাতক। পলাতক থেকেও এবং সন্ত্রাসী প্রধান আসামি জেলখানা থেকেও ফোনের মাধ্যমে সমস্ত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাঁদাবাজি ও মাস্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। এরা ষড়যন্ত্র করছে কিন্তু বিএনপিকে দোষারোপ করছে।”
মিমিয়া