ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

সিংগাইরে বিএডিসি অফিস জঙ্গলে ভরে গেছে, অফিস করেন না স্টাফরা ! 

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর ,মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:০৫, ১৪ জুলাই ২০২৫

সিংগাইরে বিএডিসি অফিস জঙ্গলে ভরে গেছে, অফিস করেন না স্টাফরা ! 

দৈনিক জনকণ্ঠ

দূর থেকে দেখতে  ডুপ্লেক্স বাড়ির মত হলেও এটি একটি সরকারি অফিস। এই অফিস সব সময় থাকে তালাবদ্ধ।  কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেখা মিলে না । জঙ্গল ও আগাছায় ভরে গেছে প্রবেশদ্বার সহ পুরো চত্বর।

দেখভাল করার মত কেউ না থাকায় সরকারি অফিসটি এখন ভূতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। ফলে  বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয় সিংগাইর (ক্ষুদ্র সেচ) ইউনিটের গ্রাহকেরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা।  পড়েছেন ভোগান্তিতে। 

সিংগাইর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। আর সেই কৃষি সংশ্লিষ্ট  কর্মকর্তাদের উদাসীনতা কৃষকেরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন ভোগান্তিতে।  দেখার যেন  কেউ নেই। ভুক্তভোগী উপজেলার কাংশা গ্রামের মো. বাবুল হোসেন বলেন,আমি ধান চাষের প্রজেক্টের জন্য বিদ্যুতের সংযোগ নিবো।

এ জন্য বিএডিসি অফিসের ছাড় পত্র লাগবে। তার জন্য ৩ মাস যাবৎ ঘুরতে ঘুরতে শেষ। অফিসে কেউ আসে না। ফোন দিলেও গুরুত্ব দিচ্ছে না।আরেক  সেবা প্রত্যাশী মো. আশরাফ উদ্দিন জানান,আঙ্গারিয়া মহল্লার সমবায় সমিতির আওতায় গভীর নলকূপের ড্রেন সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে  একটি আবেদন করি।

 সেটি বিএডিসি  অফিসে তদন্ত দিলে তারা কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। অফিসটিতে বেশকিছু দিন ঘুরেও  কাউকে না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। 

অফিসের আশপাশের ব্যবসায়ীরা বলেন  ,অনেক কৃষক এ অফিসে কাজের জন্য আসে। তালাবদ্ধ থাকায় ঘুরে যায়। তারা আরো বলেন, অফিসার বা কর্মচারী কেউ আসেন না। সব সময় তালা দেয়া থাকে।

 সরেজমিনে সোমবার দুপুরে অফিসের মূল ফটকে তালা ঝুলানো দেখা যায়। স্থানীয়দের  সাথে কথা বলে জানা যায়,বেশকিছু দিন যাবৎ অফিসে তালা ঝুলানো থাকায় ভিতরে জঙ্গলে ভরে গেছে। অফিসের কোনো কার্যক্রম দেখছেন না বলেও জানান তারা।

জানা গেছে,  বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি) কৃষি মন্ত্রণালয় সিংগাইর উপজেলায় উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের জন্য একটি অত্যাধুনিক  দু'তলা ভবন নির্মাণ করে দেন সরকার। ভবন নির্মাণের পর কিছুদিন অফিসে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা থাকলেও পরবর্তীতে তার দেখা মিলছে না। এতে অফিসের প্রবেশদ্বার জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রতন কুমার সরকার বলেন,সিংগাইর,মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া ৩টি  উপজেলা আমার দায়িত্ব। সিংগাইর অফিসে জনবল সংকট। তারপরও সপ্তাহ ২-৩ দিন অফিসে আসেন বলে দাবি করেন তিনি। 

 এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, বিএডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে ভালো জানা যাবে।অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি  আছেন ৩ মাস অন্তর অন্তর  সেচ বিষয়ক সভা করেন।  

হ্যাপী

×