
ছবি: সংগৃহীত
পরণে লাল বোরকা, মাথায় সাদা হিজাব আর মুখে কালো মাস্ক, এই ছদ্মবেশে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস ঢাকার একটি আদালতে হাজির হন। নিজেকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে এই কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। আদালতের এজলাসে পেছনের সারিতে বসেছিলেন অপু। উপস্থিত অনেকেই তখনো জানতেন না, তাদের মাঝেই আছেন পরিচিত এই মুখ।
তবে মামলার শুনানির সময় বিচারক যখন অপুর নাম ধরে ডাকেন, তখনই উপস্থিত সবার নজরে আসে তার উপস্থিতি। এরপর আসামির কাঠগড়ায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে’ এনামুল হক হত্যা চেষ্টা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে অপু বিশ্বাসের নাম রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, তিনি ছিলেন এই ঘটনার অর্থ যোগানদাতা।
শুনানির শুরুতে অপুর আইনজীবী আদালতকে বলেন, “আপনি জানেন, তিনি একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী।” তবে বিচারক মন্তব্য করেন, “আমি তাকে চিনি না, কারণ আমি বাংলা সিনেমা দেখি না।”
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী শুনানি চালিয়ে যান এবং অপুর জামিনের আবেদন করেন। তিনি আদালতকে জানান, ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে হাইকোর্ট থেকে অপুর আগাম জামিন (অ্যান্টিসিপেটরি বেইল) মঞ্জুর হয়েছিল। সেই ৬ সপ্তাহ শেষ হওয়ার পর ৪১তম দিনে তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করছেন।
*রাজনীতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন:*
আদেশ ঘোষণার আগে বিচারক অপুকে প্রশ্ন করেন, তিনি রাজনীতি করেন কিনা। হাস্যোজ্জ্বল মুখে অপু মাথা নাড়িয়ে জানান, তিনি রাজনীতি করেন না। তবে এজলাসে উপস্থিত কিছু আইনজীবী মন্তব্য করেন, “তিনি রাজনীতি না করলেও আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন।”
জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, “আমি একজন অভিনয়শিল্পী। রাজনীতি কখনো করিনি। অভিনয়ের প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। সেটা আমাদের কাজেরই অংশ।”
নিজেকে নিরুপায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমারও তো একটা বাচ্চা আছে।”
বাদী নিজেও স্বীকার করেছেন যে, অপু বিশ্বাসসহ মামলার অন্য ১২ জন আসামি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত অপু বিশ্বাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে একই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। তাকেও পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
সূত্র:https://youtu.be/v99RW_doECo?si=-UTkSL8Milajv8YT
ছামিয়া