
দৈনিক জনকণ্ঠ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের বহুল আলোচিত ফরহাদ জুয়েল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামির প্রত্যেককে এক দিনের রিমান্ডে নিতে অনুমতি দিয়েছেন চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালত।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মতলব উত্তর আমলি আদালতের বিচারক নাজমুল হাসান চৌধুরি রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মতলব উত্তর থানা পুলিশ আসামিদের প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করে।
গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামি হলেন—জিহাদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম (পিতা মৃত আবুল কাশেম), কবির হোসেন (পিতা শাহজাহান মোল্লা), মনির হোসেন (পিতা হজরত আলী), এবং মনির হোসেন খালাসী (পিতা অজ্ঞাত)। চারজনের বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার সাতানী গ্রামে এবং একজন মোহনপুরে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী এক দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং আমরা আইনগতভাবে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম মিয়া বলেন, এই হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত নির্মম ও পরিকল্পিত। আমরা চাচ্ছিলাম আসামিদের অধিকতর সময় রিমান্ডে এনে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন হোক। বিজ্ঞ আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন, আশা করি এই সময়ের মধ্যেও তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই সকালে ফরহাদ জুয়েল নিখোঁজ হওয়ার পর ৫ জুলাই হাইমচরের নীলকমল এলাকার মেঘনা নদীতে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরদিন নিহতের বাবা আবুল হাশেম ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ আব্দুল রকিব বলেন, এই মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। আদালতের রিমান্ড অনুমোদনের পর তদন্ত আরও কার্যকর হবে বলে আমরা আশা করছি।
এই মামলাটি স্থানীয় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করছে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটনে সবদিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
হ্যাপী