
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় বন্যায় চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের প্রধান রাস্তা ভেঙ্গে গেলেও ৩৭ বছরেও আর লাগেনি জোড়া হয়নি কোন ব্রিজ। তাই চলাচলের অযোগ্য এ রাস্তায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ বহু বছরের পুরোনো ঝালুপাড়া ব্রিজ হতে কাঠের ব্রিজ হয়ে গিয়াসের মোড়, ব্রাম্মনজানি রাস্তা।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন সরিষাবাড়ী ও কাজিপুর উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকে। গত ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় এ রাস্তাটি ভেঙ্গে গিয়ে তৈরি হয় বিশাল আকৃতির দুটি দৌউ ( প্রাকৃতিক সৃষ্টি পুকুর)। তখন থেকেই মানুষ সেই দৌউ এর পার দিয়ে যাতায়াত করলেও দীর্ঘ এ ৩৭ বছরেও সেখানে কোন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। সংস্কার বা নির্মাণ করা হয়নি কোনো পাকা রাস্তা।
অথচ মাজনাবাড়ি, সালাল চর, কুমারিয়া বাড়ি, শালগ্রাম, ছিন্না, ভোলার দিয়ার, শালদহ, চর-সরিষাবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জনগণের সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরে যোগাযোগের সবচেয়ে পুরাতন ও প্রধান রাস্তা এটি।
সম্প্রতি কাঠের ব্রিজে হয়েছে বড় একটি সেতু হয়েছে ঝালুপাড়া হতে এ ব্রিজ পর্যন্ত পাকা রাস্তা।
কিন্তু অবহেলিতই রয়ে গেছে কাঠের ব্রিজ হতে গিয়াসের মোড় পর্যন্ত এ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি।
এ বিষয়ে পথচারী চরসরিষাবাড়ী গ্রামের সোবাহান ম্যাকার বলেন, ‘এই রাস্তাটিই ছিলো আমাদের চরের মানুষের সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরে যোগাযোগের প্রধান রাস্তা। গত ১৯৮৮ সালের বন্যায় এ রাস্তাটির দুই জায়গায় ভেঙ্গে বড় বড় দুটি দৌউ হয়েছে। তখন থেকেই আমরা দৌউ এর পাড় দিয়ে চলাচল করি। আমাদের রাস্তাটি খুব খারাপ অবস্থা যাওন যায় না। আমি সাইকেল থেকে নাইমা হাইটা যাইতেছি ব্রিজ পর্যন্ত হাইটা যাইতে হবে।’
সরিষাবাড়ী থেকে ব্রাম্মনজানি বাজারসহ এর মাঝে যেগুলো গ্রাম আছে সেই গ্রামগুলোতে যাতায়াত করতে হলে অনেক দূর হয়ে ঘুরে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাইতে হয়। অনেক সময় নষ্ট হয়। এই রাস্তা দিয়া যাওন যায় না। এ রাস্তাটি পাকা হলে আমাদের আর কষ্ট হবে না।
স্থানীয় সচেতন এক ব্যক্তি জানান, ‘সম্প্রতি একজন গর্ভবতী মা যিনি পেশায় একজন শিক্ষিকা কোন গাড়ি চলাচল না করায় অনেক কষ্ট করে পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েকবার পা পিছলে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। এক পর্যায় সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।এটি দেখে আমি বাবাকে বলে আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটুকু মাটি কেটে দেই। এই রাস্তাটি পাকা হওয়া খুবই প্রয়োজন। আমরা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি।
মিরাজ খান