
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা দেখে বিস্মিত শিক্ষাবিদ ও সাধারণ মানুষ।
নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজুয়ানুল হক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ওদের হয়তো ফাঁসি হবে। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে বিস্ময়কর লাগছে, ওরা এই দুঃসাহস কোথা থেকে পেল? জানের ভয় থাকলে তো এমন অপরাধ কেউ করে না। প্রকাশ্য দিবালোকে, এত মানুষের সামনে ঘটনাটি ঘটল—এটা গবেষণার বিষয়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘ছাত্র জনতার বিপ্লবের এখনো এক বছরও পূর্ণ হয়নি। অথচ একজন মানুষও বাঁধা দিল না? ভিডিও করার চেয়ে হত্যাকাণ্ড থামানো বেশি জরুরি ছিল। হ্যাঁ, ওরা নরপিশাচ—এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু আমরা কীভাবে মানুষ হয়ে রইলাম, সেটাও ভাবনার বিষয়।’
ভিডিওটি না দেখার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখিনি। আসলে সাহস হয়নি। তবুও ঘুম আসছে না। যারা দেখেছেন, তারা কীভাবে ঘুমাচ্ছেন, ভাবতে অবাক লাগছে।’
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘একজন জীবন্ত মানুষকে হত্যার পর লাশের ওপর নৃত্য দেখে বাকরুদ্ধ বাংলাদেশ। কী ভয়ানক নৃশংসতা! ভিডিও দেখে এখনো ঘুমাতে পারছি না, চোখ থেকে এই দৃশ্য সরানো যাচ্ছে না।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমরা কি দিন দিন বিবেকহীন অমানুষে পরিণত হচ্ছি?’
উল্লেখ্য, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সংঘটিত এ নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে এবং কয়েকজনকে প্রেপ্তার করেছে।
আঁখি