
এসএসসি পরীক্ষায় এবারের ফলাফলে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৭ দশমিক ০৩ শতাংশ। গত বছর (২০২৪) এই পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের বছর (২০২৩) সালে ছিল ৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবছর পাসের হার কমেছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, চলতি বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এক লাখ ৮২ হাজার ২৩৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬৭ দশমিক ০৩। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৬২ জন শিক্ষার্থী। অকৃতকার্য হয়েছে ৬০ হাজার ৮৮ জন।
গত বছর (২০২৪) এক লাখ ৯৮ হাজার ১৮৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছিল এক লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৫ জন। অকৃতকার্য ৪২ হাজার ৭৪৯ জন।
এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬২ জন শিক্ষার্থী। পাশাপাশি এই বোর্ডে ৯২ হাজার ৯৪২ ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৫৯ হাজার ৮৪০ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬৪ দশমিক ৩৮। ৮৯ হাজার ২৯২ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৬২ হাজার ৩০৬ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭৮। এখানে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার এগিয়ে রয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সূত্র মতে, বোর্ডের ৮ জেলার মধ্যে:
নীলফামারীঃ
এ জেলায় ২১ হাজার ২০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১৪ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৭৪২। ১০ হাজার ৮৯৩ ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৭ হাজার ৬১। পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২। ১০ হাজার ৩১৪ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৭ হাজার ২১৯। পাসের হার ৬৯ দশমিক ৯৯।
দিনাজপুরঃ
এ জেলায় ৩৭ হাজার ৫৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২৬ হাজার ৬১ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৯৬৩। ১৯ হাজার ২৭ ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১২ হাজার ৫৮৭। পাসের হার ৬৬ দশমিক ১৫। ১৮ হাজার ৫১০ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১৩ হাজার ৪৭৪। পাসের হার ৭২ দশমিক ৭৯।
রংপুরঃ
এ জেলায় ৩২ হাজার ৯১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২২ হাজার ৫৬৬ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪৮। ১৬ হাজার ৪৪৪ ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১০ হাজার ৭৮৮। পাসের হার ৬৫ দশমিক ৬০। ১৬ হাজার ৪৭৩ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১১ হাজার ৭৭৮। পাসের হার ৭১ দশমিক ৫০।
গাইবান্ধাঃ
এ জেলায় ২৫ হাজার ৭৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১৭ হাজার ৮৭ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৮১২। ১৩ হাজার ৩৯৩ ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৮ হাজার ৭২০। পাসের হার ৬৫ দশমিক ১১। ১২ হাজার ৩৮৮ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৮ হাজার ৩৬৭। পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫৪।
কুড়িগ্রামঃ
এ জেলায় ২০ হাজার ১০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১২ হাজার ৫৩২ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ১৫৮। ১০ হাজার ৯০০ ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৬ হাজার ৬০৩। পাসের হার ৬০ দশমিক ৫৮। ৯ হাজার ২০০ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৫ হাজার ৯২৯। পাসের হার ৬৪ দশমিক ৪৫।
লালমনিরহাটঃ
এ জেলায় ১৪ হাজার ১০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৮ হাজার ৫৯১ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬০ দশমিক ৯১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬২২। ৬ হাজার ৬৬৫ ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৩ হাজার ৮৫১। পাসের হার ৫৭ দশমিক ৭৮। ৭ হাজার ৪৪০ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৪ হাজার ৭৪০। পাসের হার ৬৩ দশমিক ৭১।
ঠাকুরগাঁওঃ
এ জেলায় ১৭ হাজার ৭৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১২ হাজার ৫০২ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৮২২। ৯ হাজার ১৩৮ ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৬ হাজার ২৪০। পাসের হার ৬৮ দশমিক ২৯। ৮ হাজার ৫৯৮ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৬ হাজার ২৬২। পাসের হার ৭২ দশমিক ৮৩।
পঞ্চগড়ঃ
এ জেলায় ১২ হাজার ৮৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৮ হাজার ৫২৭ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৯৫। ৬ হাজার ৪৮২ ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৩ হাজার ৯৯০। পাসের হার ৬১ দশমিক ৫৬। ৬ হাজার ৩৬৯ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৪ হাজার ৫৩৭। পাসের হার ৭১ দশমিক ২৪।
আফরোজা