
বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ভোলার চরফ্যাসনে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বিদ্যুতের খুটির সাথে বেঁধে ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্বর এই নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৪জুলাই) চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের মেয়াজানপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তালুকদারের চৌরাস্তা এলাকায়। ঘটনার চার দিন পর নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ আটক হয়নি।
জাহিদুলের মা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত যুবক তুহিন দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত। এ সুযোগ নিয়ে সে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত এবং পরবর্তীতে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। পরিবার থেকে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে জাহিদুলকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁদে ফেলে ডেকে নেয় এবং নির্যাতন করে। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত তুহিন, ইমন তালুকদার, আমিনুল ইসলাম ও মো. সিদ্দিক মিলে জাহিদুলকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে প্লাস দিয়ে হাত-পায়ের নখ তুলে, পানিতে চুবিয়ে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে এবং মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাও করা হয়েছে।
তার বাবা মাজেদ রাঢ়ী খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে ওইদিনই চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্যাতনের শিকার জাহিদুল শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন জাহিদুল পরিবার। অন্যদিকে, অভিযুক্ত তুহিন ও যুবদল নেতা ইমন তালুকদার গা-ঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।
রিফাত