
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমার মায়ের অসুস্থতার খবরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে গেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে বৃষ্টি, দুর্গম পাহাড়ি পথ ও কাদা-পানির ছড়া পেরিয়ে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার দুর্গম মগাছড়ি গ্রামে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ছুটে যান কেন্দ্রীয় বিএনপির এই নেতা।
মগাছড়ি গ্রামে পৌঁছে রুহুল কবির রিজভী ঋতুপর্ণার মা ভুজোপতি চাকমার সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন ভুজোপতি চাকমার কাছে। এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা এবং জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আরও ১ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয় ভুজোপতি চাকমাকে। এছাড়া, প্রতি মাসে কেমোথেরাপির জন্য মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ থেকে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
ভুজোপতি চাকমা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং ইতোমধ্যে তিনি তিনটি কেমোথেরাপি নিয়েছেন। প্রতি ২১ দিন পরপর তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে গিয়ে কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমার মা অসুস্থ—এই খবর শুনেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দ্রুত তাঁর সঙ্গে দেখা করার নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা পেয়ে আজ সকালে মগাছড়ি গ্রামে তাঁর বাড়িতে এসেছি। ঋতুপর্ণার মায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁর রোগমুক্তির প্রার্থনা করেছি এবং তারেক রহমানের সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছি।”
এদিকে, সাবেক ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে গ্রামের অবকাঠামো নিয়ে রিজভী বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে যে উন্নয়নের বুলি উড়ানো হয়েছে, তার বাস্তব চিত্র আমরা আজ এখানে এসে দেখেছি। একটি-দুটি পদ্মা সেতু করলেই উন্নয়ন হয় না। এতদিন আমাদের উন্নয়নের যে গল্প শোনানো হয়েছে, তা যে আসলে ভাঁওতাবাজি ও প্রতারণা ছিল, ঋতুপর্ণার এই গ্রামের বাড়িতে এসে তা চোখে দেখা গেল। পাহাড়ি এই এলাকায় উন্নয়নের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি—না আছে রাস্তা-ঘাট, না কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা। এরা তো বাংলাদেশের বাইরের কেউ না।”
ঋতুপর্ণা অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূলমন্ত্র ধারণ করে গোটা দেশকে আলোকিত করেছেন মন্তব্য করে রিজভী আরও বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে শোষণ, জুলুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে দেশের প্রতিভাকে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে প্রতিভাগুলোকে আলোর সামনে আনার কোনো ব্যবস্থা এখনো আমরা দেখতে পাচ্ছি না।”
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
মারিয়া