
উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় পর পর দুটি ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে সিধকেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে মারধর করে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের না হলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মঙ্গলবার সে তার দুই সন্তান নিয়ে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। মধ্যরাতে তার ঘরের মাটিতে সিধকেটে স্থানীয় যুবক মোঃ কামাল হোসেন ও তার এক সহযোগী ঘরে মধ্যে প্রবেশ করে। এরপর তাকে মারধরের পর হাত পা বেঁধে জোরপূর্বক অত্যাচার করে (ধর্ষণ) করে ভিডিও ধারণ করে। এসময় ছেলের গলায় ও তাকে দা ধরে ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।
তিনি আরো বলেন,স্বামী জেলার বাইরে থাকায় সকালে ওই গৃহবধূর তার বাবার বাড়ি বিষয়টি জানালে তারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভোলা সদর মডেল থানায় ও পরে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষা শেষে বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে ভুক্তভোগী ওই নারীকে দেখতে এসে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার দাবি করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হারুন চৌকিদার।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে আশঙ্কা মুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তায়েবুর রহমান। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাচনাইন পারভেজ জানান, বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনো মামলা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনুক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানাতে তিনি।
রিফাত