
ছবি: সংগৃহীত
যশোরের ঝিকরগাছার সোনাকুড় গ্রামে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে রফিকুল ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের এই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত রফিকুল ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে আজগার আলীর জামাতা জহর আলী (৪০) মোটরসাইকেলযোগে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাঁকড়া বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে জহিরের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে রফিকুল হঠাৎ তার মাথায় দা দিয়ে কোপ দেন। গুরুতর আহত জহরকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে রফিকুলকে ধরে ফেলে। পরে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত রফিকুলের বিরুদ্ধে মাদকসেবন ও ব্যবসার অভিযোগ ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। তারা আরও জানান, এর আগেও রফিকুল একাধিকবার এলাকাবাসীকে আঘাত করেছেন।
জহর আলীর স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, “রফিকুলের সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল না। কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।”
রফিকুলের জামাতা বাপ্পারাজ জানান, শ্বশুরের কারও সঙ্গে বিরোধ ছিল না। গ্রামবাসীর পিটুনিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবার থেকে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে দড়িও পাওয়া গেছে।”
ঝিকরগাছা থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, রফিকুল মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনিই প্রথমে জহর আলীকে কোপান। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আসিফ