ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ভ্রমণ পিপাসুদের বিনোদনের প্রিয় স্থান পদ্মার বেড়িবাঁধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শিবচর, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ১৪ জুন ২০২৫

ভ্রমণ পিপাসুদের বিনোদনের প্রিয় স্থান পদ্মার বেড়িবাঁধ

ঈদের ছুটি শেষ তারপরও ভ্রমন পিপাসুদের ভিড়ে মুখরিত পদ্মার বেড়িবাঁধ পাড়। কেউ আসছেন গোটা পরিবার নিয়ে আবার কেউ আসছেন প্রিয়জনকে নিয়ে আর এভাবেই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যতদূর চোখ যায় ততোদূর পর্যন্ত মানুষ আর মানুষ। প্রতিদিন মনে হয় পদ্মার বেড়িবাধেঁ বসেছে মিলনমেলা।

শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে মাদারীপুর জেলার শিবচরের মাদবরেরচর ইউনিয়নের পদ্মার পাড়ের পুরাতন কেওড়াকান্দি ঘাট এলাকা থেকে কাঠালবাড়ীচর ইউনিয়ন ও জাজিরা পদ্মা সেতু এলাকার বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুড়ে দেখা যায় এই চিএ। বিনোদনের জন্য পদ্মা পাড়ের এলাকার মানুষের কাছে এই বেড়িবাঁধ এলাকা এখন বেশ জনপ্রিয়, এছাড়াও আশেপাশের এলাকার ভ্রমন পিপাসুদের কাছে এই স্থানটি বেশ প্রিয়।বেড়িবাঁধে ঘুড়তে আসা জামাল মোস্তফা বলেন,‘ছুটি শেষ আগামীকাল থেকে অফিস খোলা। আমার অফিস মতিঝিলে তাই এতো ভীড় ঠেলে যায়নি। আগামীকাল ভোরে রওনা করে এখান থেকে গিয়ে সরাসরি অফিস করবো। আমার এবং আমার পরিবারের কাছে স্থানটি বেশ প্রিয়। তাই ঢাকা যাওয়ার আগে পরিবারকে আরেকবার এখানে ঘুড়তে নিয়ে আসলাম।’

বেড়িবাঁধ জুড়ে আছে হরেকরকমের মেলা। মাদারীপুরের শিবচরের মাদবরেরচর ইউনিয়ন থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা যেখানে পদ্মা সেতু পর্যন্ত বসেছে ফুচকা ও চটপটি, ঝালমুড়ি, আইসক্রিম, ভাজাপোড়া,আইস গোল্লা, আচার, বাচ্চাদের খেলনা, বিভিন্ন রকমের কোমল পানীয়র দোকান, চায়ের দোকানসহ হরেকরকম দোকানের পসারা সাজিয়ে বসিয়েছে দোকানিরা। সেখানে ভীড় লেগেই আছে দর্শণার্থীদের। আবার বাচ্চাদের জন্য নৌকা, চরকি ও দোলনা এ জাতীয় খেলার দোকান বসানো হয়েছে। বাচ্চারাও বেশ খুশি এ রকম খেলনায় উঠতে পেরে।ঘুরতে আসা আরেক ব্যক্তি মনিরুজ্জামান বলেন,‘পরিবার পরিজনদের নিয়ে এই বেড়িবাঁধে ঘুরতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। সাথে আমার মেয়ে ও ছেলেও আছে।ঘুরাঘুরির পরে কিছু খাবার খাচ্ছি। পরিবারের সবার পছন্দের চটপটি ও ফুচকা।’

হরেকরকম দোকান ছাড়াও এখানে নৌভ্রমণের ব্যবস্থাও আছে। ট্রলার ও নৌকা নিয়ে বসে আছে মাঝিরা। কেউ ঘুরে  চুক্তি করে আবার কেউ ঘন্টা মেপে। দশর্ণার্থীরা ঘুড়ছে মন ইচ্ছে মতো। 

পদ্মার পাড়ে সঙ্গী নিয়ে ঘুড়তে আসা শিবচরের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রাজু মিয়া বলেন,‘সহর্ধমিনী নিয়ে ঘুড়তে এসেছি। এখানে আরও বেশ কয়েকবার এসেছি। তবে আমার এবং আমার সহর্ধমিনীর এটি একটি প্রিয় জায়গা।এখানে আমরা এসেছি নৌকায় ঘোরার জন্য। এটা আমাদের খুব ভালো লাগে ও আমাদের বিনোদনের একটি স্থান।’

স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল বেপারী বলেন,‘ঈদের ছুটি ও সরকারি বিভিন্ন ছুটির সময় এখানে দর্শণার্থীদের বেশ ভীড় দেখা যায়। অনেকেই তাদের পরিবার পরিজনকে নিয়ে ঘুরতে আসে এখানে। দর্শণার্থীদের বিনোদন দিতে এখানে বিভিন্ন দোকানের পসারা বসে। এক কথায় বলা চলে ছুটির দিনগুলোতে এই পুরাতন কেওড়াকান্দি ঘাটটি প্রাণ পায় মানুষের আনাগোনায়।
 

 

রাজু

×