
নওগাঁর মান্দা উপজেলার এনায়েতপুর মঞ্জীলতলা গ্রামের খামারি আফজাল হোসেনের খামারে চলছে ঈদুল আজহাকে ঘিরে ব্যতিক্রমী ব্যস্ততা। কারণ, তার খামারে রয়েছে এক বিশাল আকৃতির ষাঁড় ‘নবাব’। যার ওজন প্রায় ১ হাজার ৫০০ কেজি, অর্থাৎ ৪০ মণ। মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সেই বিশালদেহী হয়ে উঠেছে ‘নবাব’। প্রতিদিন তিনবার গোসল করানোসহ চলে নানান যত্ন-আত্তি।
খামারি আফজাল হোসেন বলেন, “নবাব আদর-যত্ন আর ভালো খাবারেই এত বড় হয়েছে। সারাদিনে তাকে তিনবার গোসল করানো হয়, খাবারেও থাকে পুষ্টির বিশেষ নজর।”
তবে ‘নবাব’ একাই নয়, খামারে রয়েছে আরও তিনটি নজরকাড়া ষাঁড়:
-
সাদা মানিক – ওজন প্রায় ১ হাজার ২০০ কেজি (৩২ মণ)
-
কালো মানিক – ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি (২৯.৫ মণ)
-
বাদসা – ওজন প্রায় ১ হাজার ৩০০ কেজি (৩৫ মণ)
এই ষাঁড়গুলোর প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকে:
-
ময়দা ও ভুসি – ৫ কেজি
-
দানাগুড় – ৩ কেজি
-
গম, কালাইসহ অন্যান্য দানাশস্য
আফজাল জানান, তিনি কোনো প্রকার হরমোন বা কৃত্রিম উপাদান ছাড়াই স্বাভাবিক খাবার ও আদরের মাধ্যমে ষাঁড়গুলো লালন-পালন করেছেন।
এদিকে ঈদ ঘনিয়ে আসতেই ‘নবাব’সহ অন্যান্য ষাঁড় দেখতে খামারে ভিড় করছেন আশপাশের জেলা ও উপজেলার শত শত মানুষ। কেউ আসছেন ছবি তুলতে, কেউ ভিডিও করতে, কেউবা আগাম বুকিংয়ের খোঁজ নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, “এত বড় ষাঁড় আমাদের এলাকায় আগে কখনও দেখা যায়নি। ঈদের হাটে গেলে ‘নবাব’ হবে সবার নজরের কেন্দ্রবিন্দু।”
বিশাল আকৃতির পাশাপাশি আদর, পরিচর্যা আর যত্নের মাধ্যমে গড়ে ওঠা এসব ষাঁড় শুধু কোরবানির হাটেই নয়, মানুষের আগ্রহ ও উদ্দীপনার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে। ঈদের আগে ‘নবাব’ কত দামে বিক্রি হবে, তা নিয়েও চলছে চুলচেরা হিসাব-নিকাশ।
মিমিয়া