
ছবি: সংগৃহীত
দেশে চলমান ডিজিটাল ভূমি জরিপ (বিডিএস জরিপ) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এক ভিডিও বার্তায় আইনজীবী তৌফিক এই জরিপের চারটি স্তর নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জমির সঠিক মালিকানা ও সীমানা নির্ধারণে প্রতিটি স্তরে জমির মালিকদের সরব ও সচেতন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।
প্রথম স্তরটি হলো ভূমির নকশা প্রণয়ন, যা ‘কিস্তুোয়ার’ নামে পরিচিত। এই পর্যায়ে জমির মালিকদের নিজ দায়িত্বে আইল বা সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। নকশা তৈরির সময় আইল সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। সীমানা নিয়ে কোনো ভুল থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমিনকে জানাতে হবে।
দ্বিতীয় স্তরটি হলো ‘খানাপুরী কাম বুঝারত স্তরে মাঠ পর্চা সংগ্রহ’। এই স্তরে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে মাঠ রেকর্ড তৈরি করতে হবে এবং মাঠ পর্চা সংগ্রহ করতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম বা আপত্তি থাকলে তা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরামর্শ দেন তৌফিক।
তৃতীয় স্তর হলো তদসিক (সত্যায়ন) স্তর। জমির মালিক কিংবা তাঁর প্রতিনিধিকে দিক ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে মাঠপর্যায়ে তথ্য যাচাই ও সত্যায়ন করাতে হবে। এ স্তরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজার কথা বলেন আইনজীবী তৌফিক। তিনি দালালদের থেকে সাবধান থাকারও আহ্বান জানান।
চতুর্থ স্তরটি হলো খসড়া প্রকাশনা (পাবলিক ডিসপ্লে) তথ্য যাচাই করে। এই স্তরে তথ্য যাচাই করা হয় এবং সেসব জমির খতিয়ান ও নকশা প্রকাশ করা হয়। মাঠপর্যায়ে প্রদর্শিত খসড়া রেকর্ডে ভুল থাকলে, ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত আপত্তি জানাতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী তৌফিক বলেন, ‘ডিজিটাল ভূমি জরিপ একটি স্বচ্ছ ও আধুনিক পদ্ধতি। তাই জমির মালিকদের উচিত যথাসময়ে অংশগ্রহণ ও প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=hGLMLlKZpXU
রাকিব