
আজ (২৯ মে) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৫ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হবে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম পদযাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২১,৮১৫ জন বাংলাদেশি পুলিশ সদস্য ২৪টি দেশে ২৬টি মিশনে পেশাদারিত্ব ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বুধবার (২৮ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, সাউথ সুদান এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ১২৮ জন পুরুষ ও ৭১ জন নারীসহ মোট ১৯৯ জন সদস্য কর্মরত রয়েছেন। ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরাও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন। এখন পর্যন্ত ১,৯২৭ জন নারী পুলিশ বিভিন্ন মিশনে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৮৯ সালের আগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ পুলিশের অংশগ্রহণ ছিল না। তবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দেশের পুলিশিং পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন। এতে তাদের মধ্যে গণমুখী ও জনসেবামুখী পুলিশিংয়ের ধারণা প্রবলভাবে জেগেছে। তারা ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও জনমুখী পুলিশিংয়ের পথে এগিয়েছেন।
এআইজি ইনামুল হক সাগর আরও বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের মানুষের প্রতি আরও দায়বদ্ধ হতে শিখিয়েছে। এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের পুলিশিং ব্যবস্থাকে জনমুখী ও সমৃদ্ধ করেছে। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের অনন্য ভূমিকা দেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
রাজু