
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপ বা ‘হাই প্রেসার’-এর কথা অনেকেই জানেন। তবে স্বল্প পরিচিত হলেও ‘লো প্রেসার’ বা নিম্ন রক্তচাপ ঠিক ততটাই বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের মতে, শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিকের নিচে নেমে গেলে দেখা দিতে পারে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ক্লান্তি, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও। তাই সময় থাকতেই চাই সচেতনতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সাধারণ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নিম্ন রক্তচাপ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে বজায় রাখা যাবে রক্তচাপের সঠিক মাত্রা—
নোনতা খাবার খান
নিম্ন রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নোনতা বা সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশ কার্যকর। সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত।
এক কাপ কফি বা চা দিতে পারে তাৎক্ষণিক স্বস্তি
ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় যেমন কফি বা চা শরীরে তাৎক্ষণিক উদ্দীপনা তৈরি করে। এটি হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে এবং রক্তনালীগুলো সংকুচিত করে সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
পানি খান পর্যাপ্ত পরিমাণে
ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা অনেক সময় লো প্রেসারের অন্যতম কারণ। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ভিটামিন বি১২ ও ফোলেটের ঘাটতি পূরণ করুন
ভিটামিন বি১২ ও ফোলেট বা ভিটামিন বি৯ লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এদের অভাবে রক্তাল্পতা তৈরি হয়, যা রক্তচাপ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই খাদ্য তালিকায় ডিম, মাছ, দুধ, সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল রাখা উচিত।
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খান নিয়মিত
আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। রক্তে পর্যাপ্ত আয়রনের অভাবে তৈরি হয় অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা, যা নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণগুলোর পেছনে দায়ী। কাজেই প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ডাল, গরু ও খাসির লিভার ইত্যাদি আয়রনসমৃদ্ধ উপাদান রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসকরা বলছেন, উচ্চ বা নিম্ন—উভয় ধরনের রক্তচাপই নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। সামান্য অসাবধানতাই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। তাই লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
রাকিব