আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে,বাড়িঘরে ঢুকছে পানি

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে এখনও বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। ভারী বর্ষণ এবং অস্বাভাবিক উচ্চতার জোয়ারের পানিতে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, নোয়াখালীসহ একাধিক জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পটুয়াখালীর বাউফল, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্ধ হয়ে গেছে ভোলা, হাতিয়া এবং বরিশালসহ একাধিক নৌরুটের যোগাযোগ। দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চ চলাচলও স্থগিত রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের  গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করেই তেতুলিয়া নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। স্বাভাবিকের তুলনায় ৫-৬ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। কোনো পূর্বাভাস না থাকায় স্থানীয়রা ছিলেন সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত।

“এলাকাবাসী ধারণাই করতে পারেননি যে বৃষ্টির সঙ্গে এমন ভয়াবহ জোয়ারের পানি আসতে পারে। ফলে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি বাঁচানোর সুযোগ পাননি। ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।"

নাজিরপুর, ধুলিয়া ও আশপাশের প্রায় ৫০টি গ্রাম হঠাৎ করেই প্লাবিত হয়। তবে সকাল থেকে কিছুটা পানি নামতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনো অনেক পরিবার ঘরের ভেতরে পানি আটকিয়ে আছে এবং তারা জরুরি সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে পার্বত্য অঞ্চলে অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় উপকূলীয় ও পার্বত্য এলাকার বাসিন্দারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর দ্রুত পদক্ষেপ ছাড়া এ সংকট থেকে উত্তরণ কঠিন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সূত্র:https://youtu.be/yeTmW2dlG2w?si=FHmkxTLpJvD4XNWN