ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সমলয় চাষাবাদে কৃষকের স্বপ্ন, বিঘাপ্রতি ফলন ২৯ মণ খরচ কম লাভ বেশি

সাগর হোসেন, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ১৮:৫৮, ২০ মে ২০২৫

সমলয় চাষাবাদে কৃষকের স্বপ্ন, বিঘাপ্রতি ফলন ২৯ মণ খরচ কম লাভ বেশি

ছবি: জনকণ্ঠ

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বুঁজরুখ বাঁখই মাঠে প্রথমবারের মতো আধুনিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্রিধান-৯২ জাতের ধান চাষাবাদ করে সফল হয়েছেন কৃষকরা। সমলয় পদ্ধতিতে ১৫০ বিঘা জমিতে ১২৮ জন কৃষক অংশ নিয়ে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ২৮ থেকে ২৯ মণ, যা পূর্বের তুলনায় ৮-১০ মণ বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, একই সময়, একই জাত এবং একই মাঠে সমন্বিতভাবে চাষ করাকে সমলয় পদ্ধতি বলা হয়। এতে উৎপাদন বাড়ে, পোকামাকড়ের আক্রমণ কমে এবং খরচ কম পড়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠে আধুনিক কম্বাইন্ড হারভেস্টর যন্ত্রের সাহায্যে ধান কর্তন চলছে। কৃষি বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও কৃষকেরা এতে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন।

কৃষক বাবুল হোসেন বলেন, গত বছর সনাতন পদ্ধতিতে বিঘাপ্রতি ১৮-২০ মণ ধান পেয়েছিলাম। এবার যান্ত্রিকভাবে চাষ করে পেয়েছি ২৭-২৯ মণ। খরচও অনেক কমেছে।

একই এলাকার কৃষক মোক্তার হোসেন বলেন, এই পদ্ধতিতে চারা কম লাগে, পরিশ্রমও কম হয়। ফলনও আগের চেয়ে অনেক বেশি।

অন্য একজন কৃষক মিঠুন জানান, গত বছর বিঘাপ্রতি ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল, ধান পেয়েছিলাম ১৯ মণ। এবার খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার, পেয়েছি ২৯ মণ।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, যন্ত্রের মাধ্যমে চারা উৎপাদন, রোপণ ও কর্তন করায় সময়  শ্রম বাঁচে, ফলে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদে খরচ কম, ফলন বেশি। কৃষকেরা যাতে এ পদ্ধতিতে আগ্রহী হন, সে জন্য প্রণোদনা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
 

সাব্বির

×