
মিয়ানমার থেকে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি জি-৩ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র এবং ৯৭৫ রাউন্ড গুলি ফেলে পালিয়েছে চোরাকারবারিরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সোমবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন ১৪ নম্বর ব্রিজ এলাকা দিয়ে অস্ত্রের একটি চালান প্রবেশ করতে পারে। এ খবরে টেকনাফ স্টেশনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দীন রশিদ তানভীরের নেতৃত্বে কোস্টগার্ড ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে দুইটি সেকশন অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে চারজনকে দুটি বস্তা মাথায় নিয়ে পাহাড়ের দিকে যেতে দেখা যায়। এ সময় তাদের থামার সংকেত দিলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পরে কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে চোরাকারবারিরা বস্তাগুলো ফেলে গহীন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়, ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ফেলে যাওয়া দুটি বস্তা থেকে একটি মিয়ানমার-নির্মিত জি-৩ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি দেশীয় পিস্তল, চারটি দেশীয় একনলা বন্দুক এবং ৯৭৫ রাউন্ড জি-৩ রাইফেলের তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের ব্যাপারে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা।
নুসরাত