
গ্রাফিক্স: জনকণ্ঠ
সুন্দরবনে হরিণ শিকার রোধে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বন বিভাগ। হরিণ শিকারে ব্যবহৃত নাইলনের জালের ফাঁদ জমা দিলে মিলবে নগদ পুরস্কার। প্রতি কেজি জালের জন্য দেওয়া হবে দুই হাজার টাকা।
সম্প্রতি পূর্ব সুন্দরবনে হরিণ শিকার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বন বিভাগ এ অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের নবাগত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের পর এই ঘোষণা দেন।
বন বিভাগ জানায়, হরিণ শিকারিরা সাধারণত নাইলনের দড়ি দিয়ে বিশেষ ধরনের ফাঁদ তৈরি করে, যা গহিন বনে পেতে রাখা হয়। হরিণ দৌড়ে যাওয়ার সময় এসব ফাঁদে আটকে পড়ে। এই ফাঁদগুলো উদ্ধারে জেলে ও মৌয়ালসহ বনজীবীদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব বলেন, জেলে ও মৌয়ালদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা ফাঁদ দেখলে সংশ্লিষ্ট বনরক্ষীদের খবর দেবেন। খবর পেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা উদ্ধার করা হবে।
ডিএফও রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনে চোরাশিকারিদের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিকারিরা ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে। গহিন বনে চলাফেরা করার কারণে বনজীবীদের চোখে এসব ফাঁদ সহজেই পড়ে। তাই ফাঁদ উদ্ধারে তাদের উৎসাহিত করতে ফাঁদের জালের প্রতি কেজিতে দুই হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আশা করছি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে হরিণ শিকার প্রতিরোধে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচারের ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের জরিপে দেখা যায়, সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা বেড়েছে। তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে হরিণ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৪টি, যা ২০০৪ সালে ছিল ৮৩ হাজার। সে হিসেবে ১৯ বছরে সুন্দরবনে হরিণ বেড়েছে ৫৩ হাজার ৬০৪টি।
এম.কে.